• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চমক টেলিকমে আশি দশকের সিডি-ভিসিডি


বিজন কুমার
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম
চমক টেলিকমে আশি দশকের সিডি-ভিসিডি
ছবি : সংবাদ প্রকাশ

সময়টা আশি কিংবা নব্বইয়ের দশক। ওই সময়ে বিনোদনের একটি বড় অংশজুড়ে ছিল ভিসিডি, ক্যাসেট, আর ডিভিডি প্লেয়ারের প্রচলন। সময় বদলেছে, একইসঙ্গে কালের খেয়ায় হারিয়ে গেছে এসব যন্ত্র। কিন্তু আধুনিক যুগে এসে পুরাতন এসব যন্ত্রের দেখা মিললে একটু থমকে যেতে হয় বর্তমান প্রজন্মকে। আর ভাবতে হয়, এসব চালানোর পদ্ধতি সম্পর্কে।

তেমনই একটি দোকানের সন্ধান মিলেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক সংলগ্ন মার্কেটে। দোকানটিতে দেখা যায়, নির্ধারিত তাকে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ক্যাসেট আর ডিভিডি প্লোয়ারের ডিক্স। পাশাপাশি রয়েছে একটি ক্যাসেট প্লেয়ারও।

বিনোদনের পুরাতন এসব অনুষঙ্গে জমে থাকা ধুলার আস্তরণ যেন জানান দিচ্ছে, আধুনিকতার যুগে তুমি আজ ‘মূল্যহীন’।

একপর্যায়ে চোখ পড়ে, দোকানটির সাইনবোর্ডের দিকে। তাতে লেখা, “চমক টেলিকম।” এমন নামকরণের সঙ্গে তাদের সংগ্রহের যে বেশ সাদৃশ্য রয়েছে, তা একদম স্পষ্ট। একটা সময় যে দোকানে বিনোদন পিপাসুদের আনাগোনা ছিল। এখন সেই দোকান শুধু টিকে আছে অস্তিত্ব ধরে রাখার লড়াই করে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দোকানটি বিদ্যুৎ সাহা নামের এক ব্যক্তির। এসব ক্যাসেট ও ডিভিডির ডিক্স বিক্রি না হওয়ায় মালিক বিকল্প ব্যবসা হিসাবে রেখেছেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা লেনদেন ও কোমল পানীয়র খুচরা বিক্রির সুবিধা।

দোকানটি পর্যবেক্ষণের কিছুক্ষণ বাদে দেখা মেলে দোকানের মালিক বিদ্যুৎ সাহার। সংবাদ প্রকাশ তিনি বলেন, “গত ২৫ থেকে ২৬ বছর ধরে আমার এই ব্যবসা। একটা সময় এক আইটেমের একটি কপি ১৫ থেকে ২০টা বিক্রি হতো। আজকের দিনে দুই মাসে ১টিও বিক্রি হয় না। এসবের কদর এখন নেই বললেই চলে। আমি সর্বশেষ গত ২ মাস আগে একটি ডিক্স বিক্রি করেছি। সেই ক্রেতার বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। তিনি পুরাতন ডিভিডি প্লেয়ার ঠিক করেছেন এবং সচল রাখতে কিনছেন বলে জানিয়েছিলেন।”

এখন কেন এই ব্যবসা ধরে রেখেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ সাহা বলেন, “অতীতকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এসব আমাদের ঐতিহ্য। আমি বর্তমান প্রজন্মকে দেখাতে চাই। একটা সময় ঘরে বসে সবাই মিলে এসব জিনিসই ছিল বিনোদনের একমাত্র উৎস। কেননা, মোবাইল তো ব্যক্তিকেন্দ্রিক। সবাই একসঙ্গে দেখার সেই আনন্দ আর নেই। আমি যতদিন আছি এসব সংগ্রহ করে রাখব।”

Link copied!