• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মুহররম ১৪৪৬

ইতিহাস পাল্টাতে গোপালগঞ্জ গেছেন হাসনাত-সারজিসরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
ইতিহাস পাল্টাতে গোপালগঞ্জ গেছেন হাসনাত-সারজিসরা
সাদিক কায়েম। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে একসময় দুই রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাজনৈতিক জনসভা করতে গিয়ে অপমানিত, প্রতিহত ও ব্যর্থ হয়ে ফিরেছিলেন, সেই ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এবার ইতিহাস বদলের প্রত্যয় নিয়ে সেখানে গিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। ফেসবুকে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েমের এমনই এক স্ট্যাটাস ঘিরে ফের উঠে এসেছে রাজনৈতিক প্রতিরোধ আর প্রতিকূলতার এক বিস্ময়কর ধারাবাহিকতা।

সাদিক কায়েম লিখেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রীয় সফরে গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন, তখন স্থানীয় আওয়ামীপন্থী জনতা শহরের প্রবেশপথে মানবপ্রাচীর তৈরি করে তার গাড়িবহর থামিয়ে দেয়। চারপাশে শোনা যায় ‘ঘাতক’, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি’ ইত্যাদি স্লোগান। মঞ্চ প্রস্তুত থাকলেও জিয়া বক্তব্য দিতে পারেননি। বিক্ষোভে উত্তাল জনতা মঞ্চ ভাঙচুর করে, মাইক ছিনিয়ে নেয়। নিরাপত্তা বাহিনী তাকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে খুলনায় সরিয়ে নেয়।

একইভাবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন গোপালগঞ্জ সফরে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়েন। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তাণ্ডবে সভামঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, রাস্তা গাছ ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়, বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে এবং এরশাদকে ঢাকা ফিরিয়ে আনে।

এই প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সাদিক কায়েম প্রশ্ন রেখেছেন—জিয়া এবং এরশাদ যদি না পারেন, তবে কি তাদের উত্তরসূরিরাও ব্যর্থ হবে?

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “হাসনাত, সারজিসদের অবশ্যই এই ইতিহাস জানা আছে। তবু তারা গিয়েছেন—ইতিহাস বদলাতে, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই গিয়েছেন।”

গোপালগঞ্জের হৃৎপিণ্ডে দাঁড়িয়ে, যেখানে এক সময় ‘জিয়া’ বা ‘এরশাদ’ প্রবেশ করতে পারেননি, সেখানে দাঁড়িয়ে আজকের এই প্রজন্ম বজ্রকণ্ঠে স্লোগান দিয়েছে: “মুজিববাদ মুজিববাদ—মুর্দাবাদ মুর্দাবাদ, মুজিববাদের আস্তানা—ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও!”

এই স্লোগান ও উপস্থিতি কি শুধুই প্রতীকী? নাকি সত্যিই ইতিহাসের গতিপথ বদলের শুরু? যা নিশ্চিত—গোপালগঞ্জের মাটি এবার যেন অন্য ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে উঠেছে।

Link copied!