জমজম কূপ হলো মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি কুয়া। পবিত্র কাবা শরিফ থেকে ২০ মিটার বা ৬৬ ফুট, মতান্তরে ২১ মিটার পশ্চিমে মসজিদে হারামের ভেতরেই এ কূপের অবস্থান। প্রায় ১৮ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট চওড়া একটি আয়তক্ষেত্রের মতো কূপটি, যার গভীরতা ৩০ মিটার বা ৯৮ ফুট, মতান্তরে ১২০ বা ১৪০ ফুট। ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, এই কূপের ছিল দুটি জলাধার। একটি হচ্ছে খাওয়ার জন্য, অন্যটি অজু করার জন্য। বর্তমানে বৈদ্যুতিক পাম্পের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে আট হাজার লিটার পানি উত্তোলন করা হয়।
ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, নবী ইবরাহিম আ. তার স্ত্রী হাজেরা ও শিশুপুত্র ইসমাইলকে মরুভূমিতে রেখে আসার পর ইসমাইলের পায়ের আঘাতে এর সৃষ্টি হয়। প্রতিবছর হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাজীরা এখান থেকে পানি পান করেন এবং পরিবার আত্মীয় স্বজনের জন্য নিয়ে আসেন।
তবে সৌদিতে জমজমের পানি না কেনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে হাজিদের বহনকারী তিনটি এয়ারলাইন্স। ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে প্রত্যেক হাজি ৫ লিটারের জমজমের পানির একটি বক্স পাবেন। এছাড়া চট্টগ্রাম অথবা সিলেট বিমানবন্দরেও একইভাবে জমজমের পানি পাবেন তারা।
অন্যান্য বছর হাজিদের জন্য বোতলজাত সেই পানি ফ্লাইটে দিয়ে দেওয়া হতো। এবার সেই পানি আগেই থেকে বহন করে বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছে এয়ারলাইন্সগুলো। সেজন্য হজযাত্রীদের লাগেজে জমজমের পানি না আনার পরামর্শ দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।
এয়ারলাইন্সগুলো জানিয়েছে, সৌদি সরকার প্রত্যেক হাজির জন্য ৫ লিটারের জমজমের পানি নির্ধারণ করেছে। তার বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনো হাজি লাগেজে জমজমের পানি আনলে সেই লাগেজ সৌদিতেই থেকে যাবে। কিংবা সৌদি বিমানবন্দরে লাগেজ খুলে পানি ফেলে দেওয়ার পর তা বিমানে তুলতে দেবে। একইভাবে অনেক হাজি সৌদি থেকে উট, দুম্বার কাঁচা মাংস ফ্রোজেন করে আনার চেষ্টা করেন। এটিও নিষিদ্ধ।
এদিকে রোববার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে মদিনা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফিরতি ফ্লাইট ছাড়বে। সোমবার ভোর ৬টা ৫ মিনিটে হাজিদের নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করবে ফ্লাইটটি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ করতে সৌদি আরবে গেছেন। এসব হজযাত্রীদের বহন করতে মোট ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে ৩২৫টি।
এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করেছে।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    




























