• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৭

তোফায়েল আহমেদের অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ০২:০৪ এএম
তোফায়েল আহমেদের অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’
‎ তোফায়েল আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এখনো জীবিত আছেন। তবে তার অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’ অর্থাৎ সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন মেয়ের জামাই ডা. তৌহিদুজ্জামান।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত ১১টার পর গণমাধ্যমকে তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে ওনার অবস্থা খারাপের দিকে চলে গিয়েছিল; প্রেশার ও পালস কমে গিয়েছিল। সেটা আবার সেটেল করেছে। ওনার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। আগের চেয়েও অবনতি হয়েছে। তবে এখনো তিনি জীবিত আছেন।’

এদিকে গেল কয়েক দিনের মতো আজও তোফায়েল আহমেদের মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালে অবস্থান করা তাঁর সাবেক ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, তোফায়েল আহমেদ এখনো লাইফ সাপোর্টে আছেন।

এর আগে আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকেও তাঁর মৃত্যুর একটি সংবাদ শেয়ার করা হয়েছিল। বিষয়টিকে ‘পীড়াদায়ক’ বলেছিলেন তাঁর স্বজনেরা।

সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী জানান, তোফায়েল আহমেদ এখনো লাইফ সাপোর্টে আছেন। কোনো কিছু ঘটলে পরিবার থেকে জানানো হবে।

তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’
বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তোফায়েল আহমেদ। কয়েক বছর ধরে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করছেন তিনি। স্ট্রোকের কারণে তাঁর শরীরের একাংশ প্যারালাইজড হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলা জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে তোফায়েল আহমেদের জন্ম। বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকাবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন।

১৯৬৮-৬৯ এর উত্তাল সময়ে তোফায়েল ছিলেন ডাকসুর ভিপি। সে হিসেবে তিনি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন ছাত্রসমাজের নেতৃত্বের ভূমিকায়।

প্রবল গণআন্দোলনে পাকিস্তান সরকার ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সকল আসামিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ওই বছর ২৩শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক জনসভার আয়োজন করে।

লাখো জনতার সেই সমাবেশে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। আর সেই উপাধি ঘোষণা করেন তোফায়েল আহমেদ।

Link copied!