‘আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে করব নিবেদন—
আমার ব্যথার পূজা হয়নি সমাপন।’
তোমার চোখের পাশে বিষণ্ন এক মায়া জেগেছে—
অভিমানে, ভালোবাসায়—স্বপ্ন চলাচলে থেকেছো কিছুদিন।
আমি তোমাকে দেখেছি, চোখের আড়ালে, অনুবাদ করেছি
পাঠ করি, অধ্যয়ন করি প্রতিনিয়ত
ভালোবেসেছি তোমাকে, তোমার অজান্তে; বুঝেও বোঝোনি তুমি।
চাঁদ ধরতে চাইনি, ধরা-ছোঁয়ার বাইরে সবসময়
ওই আকাশে চাঁদ সুন্দর—স্বপ্ন চলাচলে থেকেছো অনন্ত
কষ্ট পেয়েছি আমি, নিরবে-নিভৃতে আমাকে পোড়ায়
রাত কিংবা দিন—
ভাসুক রাত গভীর রাত ওই দুই চোখ
হারানো জীবন থেকে সব স্বপ্ন ছিঁয়ে নিয়ে
ভুল বানভাসী স্রোতে সব আজ উথাল-পাথাল।
তবুও আমি শূন্য হাতে সাজিয়ে যাব ব্যথার পূজা।
চোখের ভাষা বুঝি, তোমার চোখে মায়া-তোমার চোখে
খেলা, করে কাম, জ্বলে আগুন
তোমার কান্না আমাকে ভিজিয়ে দেয়, আমি সর্বস্ব হারাই
বুঁদ হয়ে থাকি ঘুমে, তন্দ্রাচ্ছন্নে
যদি আমার ঘুম না ভাঙে, সেই আশায়—
শুধু একটা ছাড়পত্র চাই...
আমার পূজা, ব্যথার পূজা, সাজিয়ে যাব।