• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ডিএসইসি লেখক সম্মাননা পেলেন সংবাদ প্রকাশের অঞ্জন আচার্য


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ০৯:৪০ পিএম
ডিএসইসি লেখক সম্মাননা পেলেন সংবাদ প্রকাশের অঞ্জন আচার্য

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) লেখক সম্মাননা-২০২২ পেয়েছেন সংবাদ প্রকাশের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, কবি, গল্পকার ও প্রাবন্ধিক অঞ্জন আচার্য। গবেষণা-প্রবন্ধ ক্যাটাগরিতে ‘কথাপ্রসঙ্গে যৎসামান্য’ বইয়ের জন্য এ সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম এম খায়রুজ্জামান লিটনের হাত থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট, উত্তরীয়, মানপত্র ও লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন অঞ্জন আচার্য।

অনুষ্ঠানে কবিতা, ইতিহাস-গবেষণা, গল্প-উপন্যাস, অনুবাদ, শিশু সাহিত্য ও ভ্রমণ-বিজ্ঞাপন ক্যাটাগরিতে শতাধিক লেখককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এতে সংবর্ধিত লেখকদের হাতে ক্রেস্ট, উত্তরীয়, সনদ ও সম্মানী তুলে দেন খায়রুজ্জামান লিটন।

সম্মাননা পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় অঞ্জন আচার্য বলেন, “আজকের এই সম্মাননা হৃদয়ে তুলে রাখলাম। ক্রেস্ট, উত্তরীয়, সনদ ও নগদ অর্থপ্রাপ্তির বাইরেও আরও এক বিপন্ন বিস্ময় রক্তের ভেতর খেলা করছে, যার কথ্যরূপ নেই।"

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আমরা দেখি তিনি বিদেশে কোনো সফরে গেলে সেখান থেকে ফিরে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।”

রাজশাহীর মেয়র আরও বলেন, “সাংবাদিকেরা হচ্ছেন জাতির বিবেক। নানা ঝুঁকির মধ্যে থেকেও আপসহীনভাবে কাজ করে যান তারা। এটি সত্যিই প্রশংসনীয়। আর সংবাদপত্রকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলে মনে করা হয়। সংবাদপত্রের কারণে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের খবর আমরা জানতে পারি। কোথায় কী ঘটছে, কোথায় কী হচ্ছে, কী হওয়া উচিত, সবকিছুই আমরা জানতে পারি।”

খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, “সাংবাদিকেরা জনকল্যাণমূলক দাবিগুলো সবার সামনে তুলে ধরবেন। এটি জাতি আশা করে। ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সদস্যরা নিজেদের ঐক্য আরও সুদৃঢ় করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আশা করছি।”

সংগঠনটির সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।

বক্তব্য দেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি কায়কোবাদ মিলন, কে এম শহিদুল হক, শাহ মুহাম্মদ মোতাসিম বিল্লাহ, জুরি বোর্ডের সদস্য ড. হাসান অরিন্দম, লেখক সম্মাননা উপকমিটির আহ্বায়ক কবীর আলমগীর প্রমুখ।

যারা সম্মাননা পেয়েছেন :

কবিতা বিভাগে লেখক সম্মাননা পেয়েছেন- অতনু তিয়াস, আলমগীর নিষাদ, সুরাইয়া ইসলাম, পুলক হাসান, মহসিন হোসাইন, চৌধুরি ফেরদৌস, আব্দুর রহমান মল্লিক, মু আ কুদ্দুস, দীপক ভৌমিক, দীপংকর দীপক, তুহিন তৌহিদ, জিয়া হক, নাদিম নিশাত, জোবায়ের আহমেদ নবীন, বিউটি হাসু, মোহাম্মদ আলম, সাজু আহমেদ, নূরে আলম জীবন, আ ফ ম মশিউর রহমান ও নাসরিন গীতি।

ইতিহাস ও গবেষণা বিভাগে লেখক সম্মাননা পেয়েছেন- মোহাম্মদ নূরুল হক, দীপংকর গৌতম, কাজী আলিম-উজ-জামান, অঞ্জন আচার্য, মুস্তফা মনওয়ার সুজন, কায়কোবাদ মিলন, লিয়াকত আলী, শরীফ আবদুল গোফরান, জাকির আবু জাফর, রীতা ভৌমিক, শাহ মুহাম্মদ মুতাসিম বিল্লাহ, আহমাদ মতিউর রহমান, ইমরান মাহফুজ, আনিসুর রহমান এরশাদ, জহির উদ্দিন বাবর, আল মামুন, রনি আধিকারী, ফিরোজ এহতেশাম, সানজিদা সুলতানা, কাওসার বকুল ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ।

গল্প ও উপন্যাস বিভাগে সম্মাননা পেয়েছেন- শান্তনু চৌধুরী, লাবণ্য লিপি, কামাল হোসেন টিপু, ইমন চৌধুরি, রনি রেজা, মফিদা আকবর, আশরাফুল ইসলাম, আরিফ মজুমদার, জামাল উদ্দিন জামাল, সাখাওয়াত হোসেন, মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ, অশোকেশ রায়, শতাব্দী আলম, রণজিৎ সরকার, জিয়াউদ্দিন খোকা, সাবিরা ইসলাম, তাসনিম সুলতানা, আবুল হোসেন খোকন, রেজাউল রহমান রিজভী, নীলা মল্লিক, তানভীর আলাদীন, হোসেন শহীদ মজনু, শান্তা ফারজানা, ইব্রাহিম খলিল জুয়েল, শামীম ফেরদৌস, শফিক হাসান, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মাহমুদুল হক জাহাঙ্গীর, সাইফ বরকতুল্লাহ ও মাহতাব শফি।

অনুবাদ বিভাগে লেখক সম্মাননা পেয়েছেন প্রমিত হোসেন, সাহাদত হোসেন খান, মাহফুজুর রহমান মানিক ও মলয় পাঁড়ে।

শিশু সাহিত্যে অদ্বৈত মারুত, আশিক মুস্তাফা, মনসুর হেলাল, মামুন রশীদ, আবিদ আজম, নাসির হেলাল, শেখ আব্দুল্লাহ নূর, মাসউদুল কাদির, ইমরুল ইউসুফ, আজরা পারভীন সাঈদ, সাইফুদ্দীন ও ফারহানা তানিয়া লেখক সম্মাননা পেয়েছেন।

ভ্রমণ ও বিজ্ঞান বিভাগে লেখক সম্মাননা পেয়েছেন- জাহাঙ্গীর সুর, আসিফ, সুমন ইসলাম, নাজমুল হক ইমন, শর্মিলা সিন্ড্রেলা, এখলাছ হক, কাজী রফিক ও কে এম শহীদুল হক।

বিচারক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. গিয়াস শামীম; কবি, প্রাবন্ধিক-গবেষক মজিদ মাহমুদ; কথাসাহিত্যিক ড. হাসান অরিন্দম; কবি ও গবেষক আমিনুল ইসলাম ও কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ খানসহ সাংবাদিক নেতারা ও ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সদস্য ও লেখকরা উপস্থিত ছিলেন। 

Link copied!