• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভালো থাকার উপায়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৩, ১০:১৮ এএম
ভালো থাকার উপায়

ছকে বাঁধা জীবন মোটেও ভালো লাগার বিষয় নয়। কে চায় পরাধীন থাকতে? তবে যত স্বাধীনচেতা মানুষই হোক না কেন একটি কথা মানতেই হবে জীবনে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেটিকে এড়িয়ে চলতে গেলে নিজেকেই পড়তে হয় বিপদে। তেমনই একটা বিষয় হলো সুস্থ থাকা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, জ্ঞানচর্চা করা, জীবনের স্বপ্নের দিকে নজর দেওয়া। আর এসব করতে গেলে আপনাকে করতে হবে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন। তার মধ্যে যে কয়টি জিনিস প্রতিদিন নিয়ম করে মেনে চলা উচিত তা জেনে নেওয়া যাক—

সকালে পানি খাওয়া
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সবার আগে এক গ্লাস পানি খান। এটাকে বলা হয় ‘ইন্টারনাল শাওয়ার’। আমাদের শরীরের শতকরা ৬০ ভাগই পানি। সকালে এক গ্লাস পানি খাওয়ার মাধ্যমে আপনি শরীরকে তৈরি হওয়ার জন্য জানান দেন। শরীরের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম সারা দিনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বার্তা পায়।

হালকা ব্যয়াম
সকালে ১০মিনিট হালকা ব্যয়াম করুন। তারপর দেখবেন সারাদিন শরীর ও মন কেমন ফুরফুরে লাগছে।

সকালের বাতাস গায়ে লাগান
ভোরের আলো–হাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তা ছাড়া সকালবেলা আপনি যদি ১৫ থেকে ২০ মিনিট হেঁটে বা দৌড়ে আসেন, তাতে উভয় কিডনি থেকে কর্টিসল নামক স্টেরয়েড হয়মোন নিঃসরণ হবে। রক্ত সঞ্চালন থেকে শুরু করে সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি একটা হরমোন কর্টিসল।

বিছানা করুন
এ বিষয়টি নিয়ে সুন্দর একটি ইংরেজি প্রবাদ আছে। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, আপনি যদি বিশ্ব বদলাতে চান, তাহলে আগে নিজের বিছানা থেকে শুরু করুন। অর্থাৎ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিজের বিছানা নিজেই তৈরি করুন। আবার সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানা গোছানোর ভেতর দিয়ে দিন শুরু করুন।

পড়ুন
হতে পারে দৈনিক পত্রিকা, ধর্মগ্রন্থ, গল্পের বই, কারও জীবনী, জীবন দর্শন, ইতিহাস বা ভ্রমণকাহিনি। দৈনিক পড়ার অভ্যাস আপনার ‘মনোযোগ’ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। মনোযোগের বিঘ্ন না ঘটিয়ে একটানা ৩০ মিনিট যেকোনো কাজ করতে পারবেন।

গাছের যত্ন নিন
নিজের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি পোষা প্রাণী, রাস্তার কুকুর-বিড়ালকে খাবার দিন, আদর করুন বা নিদেনপক্ষে গাছের যত্ন নিন। গাছের গোড়ায় পানি ঢালুন বা রাস্তার ময়লা পরিষ্কার করুন। মনে রাখবেন কেবল নিজের প্রতিই নয়, প্রকৃতির অংশ হিসেবে অন্যান্য উপাদানের প্রতিও আপনার করণীয় আছে।

জীবনের লক্ষ্য 
আমাদের ভেতর মাত্র ১৪ ভাগ মানুষ জীবনের লক্ষ্য নিয়ে আগায়, আর তাঁদের সফলতার হার অন্যদের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আর মাত্র তিন ভাগ মানুষ জীবনের লক্ষ্য লিখিত আকারে রাখেন। সেটাকে আবার সাপ্তাহিক, মাসিক, দৈনিক—এভাবে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে লিখিত আকারে রাখেন। প্রতিদিনের ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করে বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। এদের সফলতার হার শতকরা ওই ১৪ জনের চেয়েও তিন গুণ বেশি।

নিয়ম করে পানি পান
আপনার পেটের তিন ভাগের এক ভাগ থাকবে পানি, এক ভাগ খাবার আর এক ভাগ থাকবে খালি। সেই হিসাব করে এক থেকে দুই গ্লাস পানি আপনি খাওয়ার অন্তত ১০ মিনিট আগে পান করবেন। এই অভ্যাস আপনাকে খাবার গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তৃপ্তি দেবে।

৪-৭-৮ শ্বাসপ্রশ্বাস
চার সেকেন্ড ধরে শ্বাস নিন। সেটাকে ৭ সেকেন্ড আটকে রাখুন। ৮ সেকেন্ড ধরে ছাড়ুন। ছাড়ার সময় মুখ দিয়ে ‘হুশ’ আওয়াজ করুন। এভাবে চারবার শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। দিনে অন্তত দুবার এভাবে চারবার করে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন।

মোবাইল ফোন থেকে দূরে
এ সময়ের সবচেয়ে বড় আসক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল ফোন। গেম খেলা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অযথা স্ক্রলিং বা অর্থহীন চ্যাটিং—এগুলো থেকে যেন কোনো মুক্তি নেই। স্মার্টফোন থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন।

ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখুন
দিন শেষে ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখুন। রাতে ঘুমানোর আগে সারা দিনে ভালো কী ঘটল, এমন তিনটা পয়েন্ট ছোট্ট করে লিখে ফেলুন। কৃতজ্ঞ হোন, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করুন। কেননা আপনি যতই ইতিবাচক থকাবেন করবেন, ততই ইতিবাচক জীবন যাপন করতে পারবেন। সবকিছু ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করার মানসিকতা রাখুন।

Link copied!