আমাদের ধারণা বিরিয়ানি সব সময় দোকানেই খেতে ভালো হয়। আর ঘরে রান্না মানেই কোনো না কোনো দিকে হেরফের হয়ে যাওয়া। দোকানের মতো স্বাদ আর গন্ধ যেন আসতেই চায় না বিরিয়ানিতে। কিন্তু বাস্তবে কি তাই? আসল কথা হলো, সঠিক পরিমাণ, কৌশল ও সঠিক রেসিপি জানা থাকলে একেবারে দোকানের মতোই স্বাদ পাওয়া যাবে বিরিয়ানিতে। আজ জানিয়ে দেব বিরিয়ানি রান্নার তেমন কিছু কৌশল, যা কাজে লাগিয়ে আপনার পছন্দমতো বিরিয়ানি পেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- বিরিয়ানির স্বাদ বাড়াতে টমেটোর সঙ্গে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এবং অবশ্যই মাংস মেরিনেট করার সময় টক দই দেবেন।
- বাজারের কেনা মসলার বদলে বাসায় তৈরি মসলা ব্যবহার করুন। আস্ত মসলা পিষে বানিয়ে নিতে পারেন বিরিয়ানির জন্য টাটকা মসলা। বিরিয়ানির মাংস চর্বিযুক্ত হলে স্বাদ বাড়বে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘি ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে শুকনা লাগবে খেতে।
- রান্না শুরুর আধা ঘণ্টা আগে চাল ভিজিয়ে রাখুন। তবে আধা ঘন্টার বেশি ভিজিয়ে রাখার দরকার নেই। চাল ফোটানোর সময় ভিনেগার আর সামান্য লবণ দেবেন। এতে ঝরঝরে হবে বিরিয়ানি।
- দম বিরিয়ানির ক্ষেত্রে চাল পুরোপুরি সেদ্ধ করবেন না, ৮০ শতাংশ সেদ্ধ করুন প্রথমে। বাকিটা দমেই হয়ে যাবে।
- বিরিয়ানি দমে দেওয়ার সময় সঠিক পাত্র বাছাই করা জরুরি। পাত্রের তলাটা যেন পুরু হয়, সেদিকে নজর রাখুন। নইলে বিরিয়ানি পুড়ে যেতে পারে। নিচে একটি তাওয়া রেখে তার ওপর হাঁড়ি বসাতে পারেন।
- বিরিয়ানিতে আচার দিতে পারেন। দমে দেওয়ার সময় ব্যবহার করুন সরিষার তেল।