শুরু হয়েছে আমের মৌসুম। মাস কয়েক ধরেই বাজারে নানা প্রজাতির আম আসবে। বাঙালিদের কাছে রসালো আম বেশ প্রিয়। বিশেষ করে হিমসাগর আমের প্রতি বাঙালিদের দুর্বলতা একটু বেশিই থাকে। হিমসাগরের জন্য রীতিমতো দিন গুণতে থাকে। তবে হিমসাগরের মৌসুমেও আসলটা পাওয়া একটু কষ্টকর। কারণ ভেজালের ভিড়ে আসল হিমসাগর সহজে পাওয়া যায় না।
মে মাসের শুরুতেই হিমসাগর, গোলাপখাস, চৌতাসা, জোয়ানসহ নানা প্রজাতির আম উঠেছে। এর মধ্যে হিমসাগরের চাহিদা বেশি থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা অন্য প্রজাতির আমকে হিমসাগর বলে চালিয়ে দিচ্ছে। তবে যারা আসল হিমসাগর আম চিনেন, তাদের ঠকানো দায়। কিন্তু যারা চিনেন না, তারা আম কিনতে গিয়েই প্রতারিত হচ্ছেন। তাই হিমসাগর আম কেনান আগে এর কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা জেনে রাখুন।
মে মাসের প্রথমেই বাজারে আসে হিমসাগর। তবে বেশিদিন বাজারে পাওয়া যায় না।
হিমসাগর মিষ্টত্ব এবং গন্ধের জন্য সেরা হয়। গন্ধ শুকলে মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যাবে।
পরিপক্ক হিমসাগর আমের গড় ওজন ১৮০ (+) গ্রাম হয়।
হিমসাগর সাধারণত মাঝারি আকারের হয়। এই আমের গড়ন বুকের দিকটা গোলাকার হয়। অবতল থেকে সামান্য লম্বাটে আকার নিয়ে শীর্ষদেশ গোলাকৃতির হয়ে থাকে।
পরিপক্ক হিমসাগর আমের রং হালকা সবুজ। পাকার পরও সবুজ থেকে যায়। ভিতরে শাস হলুদ থাকে এবং বাইরের খোসা হয় সবুজ।
ত্বক মসৃণ ও খোসা পাতলা হয়। হিমসাগর খুবই উৎকৃষ্ট স্বাদের সুগন্ধযুক্ত আম। শাঁস নরম এবং আঁশবিহীন। শাঁস কমলা রঙের।
গাছে পাকা আমের বোটার কাছে সুন্দর ঘ্রাণ থাকবে। কিন্তু কেমিক্যাল দিয়ে পাকালে তেমন গন্ধ থাকে না।