কোরবানির ঈদ মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এই দিনটি শুধু ধর্মীয় বিধান পালন করার জন্যই নয়, বরং একটি পারিবারিক ও সামাজিক আনন্দের উৎসবও। কোরবানির আগেই ঘরের যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হয়। নয়তো বাড়তে পারে চাপ। তাই আগে থেকেই ঘরের প্রস্তুতি নিয়ে পরিকল্পনা করতে হয়।
ঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
ঈদের আগে ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুবই জরুরি, বিশেষ করে যেহেতু কোরবানির মাংস ঘরে ঢুকবে, কাটা, বাছাই ও সংরক্ষণের কাজ হবে। ঘরের ফ্লোর, রান্নাঘর, বাথরুম, ফ্রিজ ও ফ্রিজার ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন। দরজা, জানালা, পাখা, পর্দা ও ফার্নিচার থেকে ধুলোবালি মুছে নিন। কোরবনির পর মাংস বা রক্ত পড়ে যেন নোংরা না হয়, সেজন্য অতিরিক্ত পলিথিন সংরক্ষণ করে রাখুন।
রান্নাঘরের প্রস্তুতি
কোরবানির ঈদের সবচেয়ে ব্যস্ততম জায়গা হচ্ছে রান্নাঘর। তাই ঈদের আগেই রান্নাঘর গুছিয়ে রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মসলা, তেল, রসুন, আদা, পেয়াজ, লবণ, চিনি ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ আগেই সংগ্রহ করে রাখুন। চাপাতি, বটি, ছুরি, কাটিং বোর্ড, ব্লেন্ডার, প্রেসার কুকার এগুলোর কাজ করে কিনা তা যাচাই করে নিন। প্রয়োজনে ছুরি ধার করিয়ে নিন। খাবার তৈরির জন্য বাড়তি কড়াই, হাঁড়ি, ফ্রাইং প্যান ইত্যাদি প্রস্তুত করে রাখুন।
ফ্রিজ ও ফ্রিজার প্রস্তুত করা
কোরবানির মাংস সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ ও ডিপ ফ্রিজ পরিপূর্ণ প্রস্তুত রাখতে হবে। ফ্রিজ খালি করে অপ্রয়োজনীয় খাবার বা পুরনো আইটেম ফেলে দিন। ভালোভাবে পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করুন। প্রয়োজনে লেবু বা বেকিং সোডা ব্যবহার করুন।ফ্রিজে যদি বরফ জমে থাকে, আগেই ডিফ্রস্ট করে ফেলুন। ফ্রিজে মাংস রাখার জন্য পর্যাপ্ত প্যাকেট, পলিথিন, জিপলক ব্যাগ বা প্লাস্টিক বক্স জোগাড় করে রাখুন।
অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি
কোরবানির ঈদে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা আসেন। তাই অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতিও থাকা উচিত। অতিথি বসানোর জায়গা পরিষ্কার ও গোছানো রাখুন।