যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বক্তব্য ‘সেন্সর’ করা বা তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করলে, এর সঙ্গে জড়িত বিদেশি কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
নতুন এ নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা বিদেশি কর্মকর্তাদের নিশানা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ‘সেন্সর’ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, তার কোনো উদাহরণ দেননি রুবিও। ইউরোপীয় মিত্রদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কো রুবিও বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে সুরক্ষা যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী বিদেশি কর্মকর্তাদের ওপর নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টের জন্য বিদেশি কর্মকর্তারা যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বা হুমকি দেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।
মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোকে ‘বৈশ্বিক আধেয় নিয়ন্ত্রণ নীতি’ মেনে চলতে বলা এবং নিজেদের ক্ষমতার আওতার বাইরে গিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা বিদেশি কর্মকর্তাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। কিছু বিদেশি কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা তাদের এখতিয়ারের বাইরে।