কোরবানি ঈদ মানেই মাংসের নানা পদ। তেমনি একটি পদ চট্টগ্রামের কালাভুনা। কালাভুনা রান্নার মানে কিন্তু মাংস রান্না করে ভেজে নেওয়া নয়, বরং এটি তৈরির আছে কিছু কৌশল। সারাদেশে জনপ্রিয়তা পাওয়া চট্টগ্রামের এই পদ বানিয়ে নিন এবা আপনিও। রেসিপিটা দেখে নিন-
যা যা লাগবে
- ২ কেজি গরুর মাংস
- দেড় কাপ পেঁয়াজকুচি
- ২ টেবিল চামচ আদাবাটা
- ২ টেবিল চামচ রসুনবাটা
- ১ টেবিল চামচ রসুনকুচি
- দেড় টেবিল চামচ মরিচগুঁড়া
- ৭-৮ টি শুকনা মরিচ
- ২ চা-চামচ হলুদগুঁড়া
- ২ চা-চামচ জিরাগুঁড়া
- ১ টেবিল চামচ ধনেগুঁড়া
- ১ চা–চামচ রাঁধুনিগুঁড়া
- ১ চা–চামচ কালো গোলমরিচগুঁড়া
- ১ চা–চামচ গরমমসলার গুঁড়া
- সামান্য জায়ফল ও জয়ত্রীগুঁড়া
- ৪-৫ টি দারুচিনি টুকরা
- ৬-৭ টি ছোট এলাচি
- ৬টি লবঙ্গ
- আধা চা–চামচ আস্ত কালো গোলমরিচ
- ২টি স্টার অ্যানিস
- ৩টি তেজপাতা
- লবণ স্বাদমতো
- শর্ষের তেল প্রয়োজনমতো
- ১ কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা।
যেভাবে বানাবেন
হাড়, চর্বিসহ মাংস মাঝারি আকারের টুকরা করে ধুয়ে নিন। পানি ঝরিয়ে কড়াইয়ে রেখে তাতে সামান্য পরিমাণ তেল, পেঁয়াজ বেরেস্তা, পেঁয়াজকুচি, সব বাটা মসলা, গরমমসলা আর লবণ দিয়ে মাংস ভালো করে মাখিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এক ঘন্টা পর হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরাগুঁড়া দিয়ে আবারও ভালো করে মাখিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে চুলায় রান্না করতে হবে। মাঝেমধ্যে নেড়ে দিতে হবে, যাতে তলায় মাংস লেগে না যায়। মাংসের পানি না শুকানো পর্যন্ত অতিরিক্ত পানি দেওয়া যাবে না। পানি শুকিয়ে গেলে অল্প অল্প করে গরম পানি দিয়ে কষাতে হবে। মাংস সেদ্ধ হবে কিন্তু ভাঙবে না। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে রাঁধুনিগুঁড়া, গরমমসলার গুঁড়া, গোলমরিচগুঁড়া, জায়ফল–জয়ত্রীগুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে চুলা থেকে নামাতে হবে।
আরেকটি কড়াইয়ে আধা কাপ শর্ষের তেল গরম করে ১ টেবিল চামচ রসুনকুচি, ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজকুচি, ৭-৮ টি শুকনা মরিচ লাল করে ভেজে মাংসে দিয়ে দিতে হবে। তারপর মাংস চুলায় বসিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। তারপর ভাত বা রুটির সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন গরুর কালাভুনা।