ঈদের সময় পরিবারের সবাই মিলে হয়তো গ্রামে বা মফস্সলে যাচ্ছেন, এই দলে শিশুরাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, ভ্রমণে সামান্য অসতর্কতা থেকে হতে পারে অনেক রকমের ক্ষতি। দীর্ঘ পথ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গরমে সদ্যোজাত শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে, বেশি মানুষের সংস্পর্শে সংক্রমণ হতে পারে। তবে কয়েকটি বিষয় মেনে চললে শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ হতে পারে অনেক সহজ।
- নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মানো শিশু কিংবা কম ওজন নিয়ে জন্মানো সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ না করাই ভালো। তাই নবজাতক শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- শিশু যত ছোট হবে ততই তার প্রয়োজনীয় জিনিসের সংখ্যা বেশি থাকবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সঠিকভাবে শিশুকে নিয়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে ভুলবেন না। এগুলো আগেই ব্যাগে তুলে রাখুন এবং হাতের কাছে রাখুন। তবে বাড়তি জিনিস ভ্রমণের সময় বোঝা হয়ে উঠতে পারে।
- একটু বড় শিশুদের নিয়ে সড়কপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, তারা যেন সামনের আসনে কিংবা জানালার পাশে না বসে। জানালা দিয়ে মাথা বাইরে না যায়।
- গাড়িতে অনেক শিশু খুব বমি করে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই রওনা হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে শিশুকে কিছু খাওয়াবেন না। ডাক্তারের পরামর্শে যাত্রার আধঘণ্টা আগে বমির ওষুধ খেলে এই সমস্যা অনেকটা দূর হবে।
- ঈদের ভ্রমণে সময়সূচি ঠিক থাকে না, তার উপর প্রচন্ড গরম। তাই খাবার পানি ও শুকনো খাবার সঙ্গে নিয়ে নিতে পারেন। শিশুকে এসময় বাইরের খাবার খাওয়ানো একদম ঠিক হবেনা।
- এবারের ঈদের এই সময়টায় প্রচন্ড গরম। তাই এই গরমে একদম নতুন কাপড়ে বাচ্চার অস্বস্তি হতে পারে, পুরোনো নরম হালকা সুতি কাপড় পরান। ক্যাপ, সানগ্লাস, ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। খুব ছোট শিশুদের অবশ্য ডায়াপার পরাতে পারেন। ডায়াপারে র্যাশ এড়াতে তা পরানোর আগে ভ্যাসলিন বা যেকোনো জিঙ্ক ক্রিম লাগাতে পারেন।
- শিশুর জন্য বাড়তি কয়েক সেট কাপড় রাখতে হবে। যানবাহনে ঘেমে গেলে বা প্রস্রাব-পায়খানায় ভিজে গেলে দ্রুত পোশাকটি বদলে দিতে হবে। শিশুকে আরামদায়ক জুতা পরাতে হবে যাতে হাঁটতে কষ্ট না হয়।
- শিশু হাঁটা ও কথা বলা শিখলে ওর দিকে যাত্রাপথে বাড়তি মনোযোগ দিন। এই বয়সী শিশুদের কৌতূহল বেশি হয়। দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যায়। এ জন্য চোখে চোখে রাখতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :