প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহার অনেক পুরোনো। মানসিক চাপ দূর করা থেকে শুরু করে ত্বক ও চুলের সমস্যায় প্রাকৃতিক তেল চমৎকার ভূমিকা রাখে। আর প্রাকৃতিক তেল হিসাবে এসেনশিয়াল অয়েল বেশ পরিচিত। এসেনশিয়াল অয়েল হলো গাছগাছালির বিভিন্ন অংশ থেকে তৈরি তেল। গাছের পাতা, ফুল, বীজ, শিকড় ইত্যাদি থেকে বের করা নির্যাস দিয়ে বানানো হয়। এসেনশিয়াল ওয়েল চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজেও ব্যবহার করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এসেনশিয়াল অয়েলের গুণাগুণ ও উপকারিতা।
ল্যাভেন্ডার অয়েল
ল্যাভেন্ডার অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষের জন্ম দিতে পারে এই তেল। গভীর ক্ষতের দাগ সারানোর জন্য ল্যাভেন্ডার বেশ কার্যকরী। রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক সারাতেও এই তেল সহায়ক।
টি ট্রি অয়েল
অনেক প্রসাধনীতেই আজকাল টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করা হয়। ত্বককে সজীব করতে যেমন এই তেলের তুলনা নেই। ল্যাভেন্ডার অয়েলের মতো টি ট্রি অয়েলেও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে। ব্রণ, ক্ষতের দাগ সারাতে এবং রোদে পোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে এই তেল। খুশকির সমস্যা দূর করে টি ট্রি অয়েল।
ক্যারট সিড অয়েল
ত্বকের কালো ছোপ দূর করার কাজে এই তেল সহায়ক। ক্যারট সিড অয়েলের অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান অ্যালার্জিজনিত দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। অনেক পুরনো ক্ষতের দাগও এই তেলের সাহায্যে সারিয়ে ফেলা যায়।
ক্যামোমাইল অয়েল
মন ও শরীর ক্লান্ত থাকলে তার ছাপ পড়ে মুখে। ক্যামোমাইল অয়েল ব্যবহারে সেই ক্লান্তির ছাপ দূর হয়ে যায় সহজেই। পাশাপাশি ত্বকে কোনোরকম প্রদাহ হলেও তা দূর করতে পারে।
সিডারউড অয়েল
ব্রণের দাগ, এগজিমার দাগ সারাতে সিডারউড এসেনশিয়াল অয়েল বিশেষ উপকারী। ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে সিডারউড অয়েলের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন।