বরগুনার বেতাগী উপজেলায় এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বেতাগী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে।
রোববার (২৯ জুন) বিকেলে বেতাগী পৌর শহরের বন্ধু চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় গেটের সামনে সুমন মিয়া (১৭) নামের ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ডেকে নেন বেতাগী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন ও তার সহযোগীরা। পরে পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বন্ধু চত্বরে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে সুমনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
আহতের বাবা সেলিম খান বলেন, “ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ছেলের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেতাগী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, “সুমন ছাত্রলীগের কর্মী। সে আগেও অনেকের ওপর হামলা করেছে। হয়তো আমাদের কিছু নেতাকর্মী তাকে মারধর করেছে, তবে আমি এ ঘটনায় জড়িত নই। আমি খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে গেছিলাম।”
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোয়েব কবির বলেন, “ঘটনার বিষয়টি আমি শুনেছি। যদি ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে এবং কেউ দোষী প্রমাণিত হয়। তাহলে ছাত্রদল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।”
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম রনি বলেন, “আমি ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত আহত ব্যক্তি বা তার পরিবার কেউই আমাকে এ বিষয়ে কিছু জানাননি। ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী এ ঘটনার জড়িত থাকলে আমরা তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণিত হলে বরগুনা জেলা ছাত্রদল সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।”
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”