• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

‘আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমি বাড়ি ফিরতে চাই’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৩:০৯ পিএম
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমি বাড়ি ফিরতে চাই’
ছয় বছর পর খুঁজে পাওয়া কিশোর অ্যালেক্স বেটি। ছবি: বিবিসি

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা অ্যালেক্স বেটি (১৭) দীর্ঘ ছয় বছর ধরে নিখোঁজ ছিল। বহু খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে ফ্রান্সের তুলুসিতে তার সন্ধান পাওয়া যায়। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

ছয় বছর আগে মা ও নানার সাথে স্পেনে ঘুরতে গিয়ে হারিয়ে যায় অ্যালেক্স। বছর গড়িয়ে গেলেও কোনোভাবেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না অ্যালেক্সকে। অবশেষে ছয় বছর পর সন্ধান মিলেছে তার। 

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ফ্রান্সের তুলুসি শহরে খুঁজে পাওয়া যায় অ্যালেক্সকে। সে এক মোটরসাইকেলচালকের মুঠোফোন থেকে যুক্তরাজ্যে নানিকে বার্তা পাঠিয়ে লিখে, “আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি বাড়ি ফিরতে চাই।” ফাবিয়েন আসিদিনি নামের ওই মোটরসাইকেলচালক তুলুসি শহরের পাশে অ্যালেক্সকে বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে বেড়াতে দেখেন।

ফাবিয়েন বিবিসিকে জানান, অ্যালেক্স টানা চারদিন ধরে হেঁটে বেড়াচ্ছিল। সে পাহাড়ি একটি জায়গা থেকে সেখানে এসেছিল। এসব কথা অ্যালেক্স তাকে জানায়। তবে কোথা থেকে সে এসেছে সে ঠিকানা অ্যালেক্স বলতে পারেনি।

পরে অ্যালেক্সকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। ইন্টারনেটে নাম লিখে অনুসন্ধান করে অ্যালেক্সের হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন ফাবিয়েন। এরপরই তিনি অ্যালেক্সের বিষয়ে সহায়তা চেয়ে ফরাসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এর মধ্যে ফাবিয়েনের ফেসবুক আইডি থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত নানির কাছে একটি বার্তা পাঠিয়ে লিখে, “হ্যালো নানি, আমি অ্যালেক্স। আমি এখন ফ্রান্সের তুলুসিতে আছি। আশা করছি, তুমি এই বার্তা পাবে। আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই।”

২০১৭ সালে মা ও নানার সঙ্গে স্পেনে বেড়াতে গিয়েছিল অ্যালেক্স। এরপর হঠাৎ গায়েব হয়ে যায় সে। অ্যালেক্স দুই বছর ধরে ফ্রান্সে অবস্থান করছিল বলে নিজেই জানিয়েছে।

এর আগে ২০১৮ সালে অ্যালেক্সের নানি সুসান বিবিসিকে বলেন, অ্যালেক্সের মা মেলানি বেটি ও নানা ডেভিড বেটি মরক্কোর আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়ের কাছে অ্যালেক্সকে তুলে দিতে পারে। কারণ ওই সময় তারা বিকল্প জীবনব্যবস্থা নিয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এমনকি অ্যালেক্সের বিদ্যালয়ে যাওয়াও পছন্দ করতেন না তারা। অ্যালেক্সকে নানির কাছে ফেরত পাঠাতে ফরাসি কর্তৃপক্ষ প্যারিসে যুক্তরাজ্য দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

Link copied!