ভারতের উত্তরাখণ্ডে নির্মাণাধীন টানেলে ১০ দিন ধরে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে প্রথমবারের মতো ক্যামেরায় দেখা গেছে। সে সময় শ্রমিকরা নিজেদের মুক্ত করা জন্য নতুন পথ তৈরির চেষ্টা করছিলেন।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্লান্ত, ভীত ও ঘন দাড়িওয়ালা শ্রমিকদের উদ্ধারকারীদের পাঠানো এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরার পাতলা পাইপের দিকে তাকাতে দেখা গেছে। এই পাইপের মাধ্যমেই তাদের কাছে অক্সিজেন, খাবার এবং পানি পাঠানো হচ্ছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হেলমেট পরিহিত শ্রমিকরা ক্যামেরার কাছে জড়ো হলে, উদ্ধারকারীরা তাদের বলেন, “আমরা আপনাদের নিরাপদে বের করে আনব, চিন্তা করবেন না।”
ক্যামেরা চালু করার আগে তারা রেডিও ব্যবহার করে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এক বিবৃতিতে বলেন, “সবাই সম্পূর্ণ নিরাপদ আছেন। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে তাদের নিরাপদে বের করে আনার চেষ্টা করছি।” তিনি আরও জানান, আটকে পড়া শ্রমিকদের নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি শ্রমিকদের বের করে আনার কাজে ‘সবচেয়ে অগ্রাধিকার’ দেওয়ার কথা বলেছেন।”
সোমবার (২০ নভেম্বর) নির্মাণাধীন এই টানেলটিতে আটকে পড়ার ৯ দিন পর ৬ ইঞ্চি প্রশস্ত পাইপ ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করাতে সফল হয়েছেন উদ্ধারকারীরা। এর কিছু পরই পাইপটির সাহায্যে সেখানে বোতল দিয়ে গরম খাবার পাঠান তারা।
গত ১২ নভেম্বর ভোরে উত্তরাখণ্ডের নির্মাণাধীন এই টানেলের ভেতরে ধস নামলে তার কাঠামোটি ভেঙে যায়। ফলে সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন। ধ্বংসাবশেষ টানেলে পড়ে যাওয়ায় এবং সেখানে বারবার ভাঙন হওয়ায় উদ্ধারকাজ অনেকটা ধীর ও জটিল হয়ে পড়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।