তোশাখানা মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি এ সাজা বাতিলের আবেদন করলে তা ফেরত দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় পাওয়া উপহার বিক্রির অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হন ইমরান খান। এ মামলায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তোশাখানা মামলায় দোষী প্রমাণিত ও কারাদণ্ড হওয়ায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
গত ১১ ডিসেম্বর ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এ শাস্তি বাতিলের জন্য আপিল আবেদন করেন ইমরান খান। কিন্তু হাইকোর্ট এ আবেদন খারিজ করলে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন ইমরান খান।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) আইনজীবী সর্দার লতিফের সাহায্যে সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করেন ইমরান খান। আপিল আবেদন অসম্পূর্ণ হওয়ায় তা ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট কার্যালয়।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে এ রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ও পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে দেশটির পার্লামেন্টে বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। পরবর্তী সময়ে শতাধিক মামলা করা হয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে। সাইফার মামলা, তোশাখানা মামলাসহ আরও কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ইমরান বর্তমানে পাকিস্তানের কুখ্যাত আদিয়ালা কারাগারে আছেন।
ইমরান খান যেন আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারেন তাই ক্ষমতাসীন সরকার ও সেনাবাহিনী উদ্দেশ্যমূলকভাবে চক্রান্ত করে তার বিরুদ্ধে এসকল মামলা করেছে বলে দাবি করেছেন ইমরান খান ও তার দল।
আপনার মতামত লিখুন :