• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতিসংঘের আদালতে সিরিয়ার বিচার চাইল নেদারল্যান্ডস-কানাডা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম
জাতিসংঘের আদালতে সিরিয়ার বিচার চাইল নেদারল্যান্ডস-কানাডা

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে আনা নির্যাতনসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখতে ‘আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত আইসিজেতে’ যৌথভাবে আবেদন করেছে নেদারল্যান্ডস ও কানাডা। গৃহযুদ্ধের সময় সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টিও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। অবিলম্বে নিপীড়ন বন্ধ করতে সিরিয়াকে বাধ্য করতে আইসিজেকে জরুরি ভিত্তিতে একটি নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করেছে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস।

নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের ঐ আদালতে করা আবেদনে দেশ দুটি বলেছে, “সাধারণ নাগরিকদের বিক্ষোভে সহিংস নিপীড়ন চালিয়ে সিরিয়া অনেকভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বন্দিদের সঙ্গে ঘৃণ্য আচরণ, আটক রাখার জায়গার অমানবিক পরিস্থিতি, গুম, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ব্যবহার এবং শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা।

নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সরকার সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “ডাচ সরকারের অবস্থান হলো- সিরিয়ার সাধারণ নাগরিকদের মানবাধিকার যে সে দেশের সরকার মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে।”

এমন সময়ে দুই দেশ সিরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল যখন আসাদ সরকারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে আরব লিগ।

পশ্চিমা কয়েকটি দেশ গত কয়েক বছর ধরে সিরিয়ার যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস করানোর চেষ্টা করছে। এছাড়া হেগে অবস্থিত আরেকটি আদালত ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিচার করানোরও চেষ্টা করেছে কয়েকটি দেশ। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়ার কারণে সেসব সম্ভব হয়নি।

তাই ২০২০ সালে বিকল্প উপায় খোঁজা শুরু করে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস। তারা মনে করছে, দুটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে তিনটি দেশই (সিরিয়া, কানাডা ও নেদারল্যান্ডস) সই করায় সিরিয়ার বিচার করার ক্ষমতা আইসিজের রয়েছে।

এদিকে ‘ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন’ ক্ষমতা প্রয়োগ করে জার্মানিসহ কয়েকটি দেশেও সিরিয়ার যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে মামলা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত সিরিয়ার মাত্র একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

২০২১ সালে জার্মানির একটি আদালত সিরিয়ার সাবেক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। এছাড়া সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হয়ে লড়াই করা এক ফিলিস্তিনিকেও অভিযুক্ত করেছে জার্মানির একটি আদালত। তাকে সর্বনিম্ন ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

Link copied!