সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে’ গুঁড়িয়ে দেয়ার অঙ্গীকার ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে নর্থ আটলান্টি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে ন্যাটো দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তুরস্কের প্রতি সংহতি জানান।
বৈঠকের প্রথম দিনে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যাটো সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানায়। সাম্প্রতিক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় জোট তুরস্কের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে। বিবৃতিতে মিত্র অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি ভূখণ্ড রক্ষার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
এর আগে এরদোয়ান জানান, শেষ সন্ত্রাসীটিকে নিশ্চিহ্ন করার আগ পর্যন্ত পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার ব্যাপারে আঙ্কারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, “সীমান্তে বেসামরিক এলাকায় মর্টার হামলা চালিয়ে ওরা নিরপরাধ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাদের নোংরা চেহারা ফুটে উঠেছে। তবে তুরস্কের অভিযানে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।”
গত সপ্তাহে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সিরিয়ার ওয়াইপিজি/পিকেকে গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে আঙ্কারা। এরদোয়ান বলেন, গাজিয়েন্টেপ জেলায় চালানো হামলায় তার ৫ বছরের একটি শিশু এবং ২২ বছরের একজন শিক্ষককে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, “আমাদের মাতৃভূমি ও জনগণের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সময় আমাদের কারও কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা কারও কাছে জবাবদিহি করবো না। ফাঁকা হুমকি দিয়ে কেউ তুরস্ককে তার নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থানে যেতে বাধ্য করতে পারবে না।”
কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠী পিকেকে, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত। আঙ্কারার দাবি, নারী ও শিশুসহ ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে পিকেকে সন্ত্রাসীরা। তুরস্ক বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত হলেও গোষ্ঠীটিকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।