• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পেলেন জামাল খাসোগির স্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ০১:৩৩ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পেলেন জামাল খাসোগির স্ত্রী
নিহত সাংবাদিক জামাল খাসোগি ও তার স্ত্রী হানান এলাতার। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের কনস্যুলেটের ভেতর হত্যার শিকার সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির স্ত্রী হানান এলাতার যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

২০১৮ সালের অক্টোবরে জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়। এ হত্যার পেছনে সৌদি যুবরাজ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। খাসোগির মৃত্যুর পর ২০২০ সালের আগস্টে হানান যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেন। হানান এলাতার নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানান। তিনি জীবন সংশয়ে ভুগছেন বলে জানান।

বিবিসির বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর মার্কিন প্রশাসন হানানের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর করেছে।

হানান বিবিসিকে বলেন, “আমরা জয়ী হয়েছি। হ্যাঁ, ওরা জামালের জীবন কেড়ে নিয়ে আমার জীবন ধ্বংস করেছে। কিন্তু তাও আমরা জয়ী হয়েছি।”

২৫ বছরের বেশি সময় ধরে হানান এলাতার সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেন। এরপর তিনি মিশরে ছিলেন। কিন্তু খাসোগির হত্যাকাণ্ডের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। তিরি মিশরে ফিরে গেলে জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না বলে জানান।

হানান এলাতার এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন। হানানের অ্যাটর্নি রান্দা ফাহমি এক সাক্ষাৎকারে জানান, হানান চাকরি ছেড়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাস করছেন। ২০২১ সালে হানান যুক্তরাষ্ট্রে কাজের অনুমতি পেয়েছেন বলেও জানান ফাহমি। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়াটা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। পুরো প্রক্রিয়া শেষে হানান এলাতারের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।”

সৌদি নাগরিক জামাল খাসোগি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর কিছু কাগজ সংগ্রহ করতে তিনি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। সেখানেই তিনি খুন হন। পরে তার মরদেহ টুকরো করে গুম করে দেওয়া হয়। খাসোগি যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত কলাম লিখতেন। তিনি সৌদি রাজপরিবার ও যুবরাজ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক ছিলেন।

শুরুতে সৌদি আরব খাসোগি হত্যার দায় অস্বীকার করে। পরে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকৃতি জানায় সৌদি আরব। এ হত্যাকাণ্ডে সৌদির একটি আদালত ৫ নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে তা কমিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড করা হয়। তবে সৌদি যুবরাজ শুরু থেকেই এ হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করে আসে।

Link copied!