• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মে দিবসে ফ্রান্সে সংঘর্ষে শতাধিক পুলিশ আহত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২, ২০২৩, ১১:২৮ এএম
মে দিবসে ফ্রান্সে সংঘর্ষে শতাধিক পুলিশ আহত

ফ্রান্সে সরকারের পেনশন বিল সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটির ১০৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। মে দিবসে দেশটিতে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল এবং এদিন ফ্রান্সজুড়ে হওয়া সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া  প্রায় ৩০০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, মে দিবসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেশজুড়ে সংঘর্ষে ১০৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ব্যাপক সহিংসতার ঘটনাও ঘটে এবং প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন জানান, ফ্রান্সে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এতো বিশালসংখ্যক পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। সোমবারের এ বিক্ষোভের বেশির ভাগই শান্তিপূর্ণ হলেও উগ্রপন্থী দলগুলো এদিন পুলিশের ওপর পেট্রলবোমা ও আগুন নিক্ষেপ করে। জবাবে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় পুলিশ।

বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে কতজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন টুইটারে লিখেছেন, কোনো ধরনের সহিংসতা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’। তবে এর পাশাপাশি অনেক শহরে বিক্ষোভকারীদের ‘দায়িত্বপূর্ণ আচরণ এবং প্রতিশ্রুতির’ প্রশংসাও করেছেন তিনি।

বিবিসি বলছে, ফ্রান্সে সরকারি পেনশনের বয়স ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছরে উন্নীত করার বিষয়ে সাম্প্রতিক যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ করছে দেশটির নাগরিকরা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রান্সে এদিন ৭ লাখ ৮২ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে রাজধানী প্যারিসেই কেবল বিক্ষোভে নামেন ১ লাখ ১২ হাজার মানুষ। তবে সিজিটি ইউনিয়নের দাবি, বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি করা সংখ্যার চেয়ে তিন গুণ বেশি।

সিজিটি নেতা সোফি বিনেট বলেছে, “এই পেনশন সংস্কার আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমাদের জয়ের সংকল্প অটুট রয়েছে।”

এদিকে প্যারিসে পেট্রলবোমার আঘাতে একজন পুলিশ অফিসারের হাত এবং মুখ গুরুতরভাবে পুড়ে গেছে। লিয়নস, টুলুস ও নান্টেসেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এসব এলাকায় যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

সোমবার প্রথমবারের মতো ফ্রান্সের শীর্ষ আটটি ট্রেড ইউনিয়ন বিক্ষোভকারীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে। মার্চের পর থেকে এই বিক্ষোভ সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

Link copied!