করোনা সংক্রমণ হতে পারে এমন ভয় থেকে সন্তানসহ তিন বছর ঘরবন্দি মুনমুন মাঝি নামে এক নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঘটনার সূত্রপাতের তিন বছর পর তার স্বামী পুলিশকে বিষয়টি জানান। দিল্লির গুরুগ্রামের চক্করপুরের এ ঘটনার খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
খবরে বলা হয়, মুনমুনের স্বামী সুজনের অনুরোধে পুলিশের একটি দলের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী ও শিশু কল্যাণ বিভাগের সদস্যরা বাসায় গিয়ে ঘরের প্রধান দরজা ভেঙে স্ত্রী মুনমুন ও তাদের ১০ বছর বয়সী সন্তানকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘরের ভেতরে ময়লা-আবর্জনা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জানা গেছে, ওই নারী তার সন্তান ও নিজের চুল ঘরেই কেটেছেন। গ্যাসের চুলার পরিবর্তে রান্নার কাজ করতেন ইন্ডাকশনের মাধ্যমে। তার সন্তান ঘরের দেয়ালে আঁকাআঁকি ও পেন্সিল ব্যবহার করে পড়াশোনা করত। এমনকি দীর্ঘ এই সময়ে সে (সন্তান) সূর্যের আলো পর্যন্ত দেখেনি। প্রতিবেশীরাও জানতে পারেননি তারা ঘরবন্দি হয়ে আছেন।
এ বিষয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, করোনা মহামারি থেকে আতঙ্কিত হয়ে ওই নারী এ কাজটি করেছিলেন, তার মধ্যে ধারণা জন্মেছিল যদি ঘর থেকে বের হয় তাহলে তার সন্তান করোনায় মারা যেতে পারে। করোনা আতঙ্কে ওই নারী তার স্বামীকে পর্যন্ত ঘরে অবস্থান করতে দেননি। ২০২০ সালে ভারতে করোনার লকডাউন শিথিল করা হলে সুজন ঘর থেকে অফিসের জন্য বের হলে তাকে বাইরেই অবস্থান করতে হয়েছে। স্ত্রী-সন্তানকে তিনি শুধুমাত্র ভিডিও কলে দেখতে পারতেন। ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, সন্তানের স্কুলের বেতন স্বামী সুজনই পরিশোধ করতেন। এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে তিনি ঘরের ফটকে রেখে আসতেন।
ওই নারী ও শিশুকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :