• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে ফরাসি সিরিয়াল কিলার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২২, ০৫:২৯ পিএম
মুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে ফরাসি সিরিয়াল কিলার

সাপ বা দ্য সারপেন্ট নামে পরিচিত ফরাসি এক সিরিয়াল কিলারকে সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছে নেপালের আদালত। ৭৮ বছর বয়সী চার্লস শোভরাজের বয়স ও ভালো আচরণ বিবেচনা করে তাকে মুক্তি দিয়েছে দেশটি। দুই আমেরিকান নারীকে হত্যার কারণে ১৯ বছর নেপালে জেল খেটেছেন তিনি।

বিবিসি জানায়, ১৯৭৫ সালে সেই পর্যটক দুই নারীকে হত্যা ছাড়াও, আরও ২০টি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা আছে। ভারতেও তার ২০ বছরের সাজা হয়েছিল। পুরো এক গাড়ি ফরাসি পর্যটকদের খাবারে বিষ মিশিয়েছিলেন তিন। তবে জেলখানার গার্ডদের মাদকে বুঁদ করে জেল থেকে পালান তিনি। থাইল্যান্ডেও ছয় নারীকে হত্যার অভিযোগ আছে তার নামে। পাতায়া শহরের সমুদ্রসৈকতে তাদের কয়েকজনের লাশ পাওয়া যায়। এসব ঘটনা ঘটে ১৯৭২ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে।

১৯৯৭ সালে ভারতের জেল থেকে পালিয়ে ফ্রান্সে ফিরে যান শোভরাজ। বসবাস শুরু করেন প্যারিসে। সেখানে টাকার বিনিময়ে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিতেন তিনি। এরপর ২০০৩ সালে আবার নেপাল ভ্রমণে যান। সেখানে এক সাংবাদিক তাকে চিনে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালত তাকে দুই হত্যার জন্য মোট ৪০ বছরের সাজা দেয়। আবার যেন পালিয়ে যেতে না পারেন, তাই তাকে রাখা হয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত জেলে।

তবে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) নেপালের সুপ্রিম কোর্ট মুক্তি দেয় তাকে। শোভরাজের আইনি দল তার স্বাস্থ্যের অবনতি বিবেচনায় আদালতের কাছে মুক্তি প্রার্থনা করলে, আদালত এই রায় দেয়। নেপালের আইনে বলা আছে, যদি কোনো বন্দি তার শাস্তির ৭৫ শতাংশ সময় পূরণ করে তবে তার ভালো আচরণ সাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেওয়া যাবে।

আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, এভাবে দীর্ঘদিন তাকে আটকে রাখা বন্দিদের মানবাধিকারবিরোধী। তার মুক্তির কারণ হিসেবে তার হৃদরোগকেও উল্লেখ করা হয়। ২০১৭ সালে তিনি হৃদরোগের কারণে তার অস্ত্রোপচার হয়।

শোভরাজকে দ্য সারপেন্ট বা বিকিনি কিলার নামেও ডাকা হয়। তার চতুর স্বভাব এবং কম বয়সী নারীদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর কারণেই তাকে এই নাম দেওয়া হয়। সেই নারীদের তিনি মাদকাসক্ত করে, শ্বাসরোধ করে, পিটিয়ে কিংবা পুড়িয়ে হত্যা করেন। পরবর্তী সময়ে তাকে নিয়ে সিরিজও বানায় নেটফ্লিক্স। এই নামে বিবিসিও তাকে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে। 

Link copied!