লেবাননে অবস্থিত বৃহত্তম ফিলিস্তিনি শিবিরে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন নিহত ও একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এর ফলে ৭ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫-তে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের লেবানন শাখা বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর সিডনের উপকণ্ঠে আইন এল-হিলওয়েহ শরণার্থী শিবিরে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ায় সংঘর্ষ তীব্রতর হয়। একাধিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যর্থ হওয়ায় অনেক বেসামরিক লোক শিবির ছেড়ে নিরাপদ এলাকায় সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
শরণার্থী শিবিরটি গত সপ্তাহ থেকে সহিংসতায় বারবার কেঁপে উঠছে। শিবিরটি নিয়ন্ত্রণ করা ফাতাহ আন্দোলনের সদস্যদের সঙ্গে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সশস্ত্র যোদ্ধাদের লড়াই চলছে।
জুলাইয়ের শেষের দিকে ক্যাম্পে ফাতাহর এক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সন্দেহভাজনদের দমন করার লক্ষ্য ফাতাহ ও তার অন্যান্য সহযোগী দলগুলোর। প্রথম দফার লড়াইয়ে এক ডজনের বেশি লোক নিহত হন।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা মুসা মোহাম্মদ আবু মারজুক, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বৈরুতে পৌঁছেছেন এই সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে।
এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আবু মারজুক মঙ্গলবার গভীর রাতে বৈরুতে ফিলিস্তিনি দূতাবাসে ফাতাহর আজ্জাম আল-আহমাদসহ দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
তারা আবু মারজুকের কাছে তাদের ‘যুদ্ধবিরতি সুসংহত করার পূর্ণ প্রতিশ্রুতি’ ব্যক্ত করেন এবং ‘যারা বাড়ি ছেড়ে গিয়েছেন তাদের প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে কাজ করতে’ সম্মত হয়েছেন।
কিন্তু বুধবার যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে যায়। ফলে গুলি ও শেল থেকে পালাতে বাসিন্দারা ব্যাপকভাবে শিবির ত্যাগ করেন।
জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর ফিলিস্তিন রিফিউজিস এন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, সংঘর্ষের ফলে শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।