• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সুদান ছেড়ে পালাতে পারে ৮ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২, ২০২৩, ০১:১৪ পিএম
সুদান ছেড়ে পালাতে পারে ৮ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ

সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সংঘর্ষ চলছে। এরই মধ্যে এ সংঘর্ষে প্রাণ গেছে ৫২৮ জনের। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

চলমান সংঘাতের কারণে ৮ লাখ মানুষ সুদান ছাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। ইতোমধ্যে ৭৩ হাজার মানুষ দেশটি ছেড়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউএনএইচসিআরের সহকারী হাই কমিশনার রাউফ মাজউ এক ব্রিফিং-এ বলেন, “আমরা ধারণা করছি ৮ লাখ ১৫ হাজার মানুষ সুদান ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পালিয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন।”

ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি টুইট বার্তায় জানান, আমরা আশা করব এমন ঘটনা না ঘটুক। তবে সহিংসতা বন্ধ না হলে আরও বেশি মানুষ নিরাপত্তার জন্য সুদান থেকে পালাতে বাধ্য হবে।

আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলেছে, ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এই লড়াইয়ে দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

এ পর্যন্ত মোট ৩ বার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে সামরিক বাহিনী এবং আরএসএফ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার রাতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ তিন দিন বাড়াতে সম্মত হয় দুই বাহিনী।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির, যিনি প্রায় ৩ দশক সুদানের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরেছিলেন। দেশটির সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ঘটে এই অভ্যুত্থান। অভ্যুত্থানের মূল নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান এবং জেনারেল হেমেদতি উভয়েই।

রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সুদানের ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে প্রশ্রয় দিতেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। তার শাসনামলের ৩০ বছর কঠোর ইসলামি শাসন ও শরীয়া আইন জারি ছিল সুদানে।

Link copied!