ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রে তার সফরটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলেনস্কির এই সফরটি এমন সময়ে হতে যাচ্ছে যখন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুরোধ নিয়ে বিতর্ক করছে। বাইডেন রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে ইউক্রেনের জন্য ২৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক ও মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছেন।
সংবেদনশীল সফরটি নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, জেলেনস্কি আগামী বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে বাইডেনের সঙ্গে দেখা করবেন। আর জেলেনস্কির ক্যাপিটলে ভ্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কংগ্রেসের দুই সহযোগী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে একটি যুদ্ধকালীন সফর করেছিলেন। তখন কংগ্রেসের যৌথ সভায় একটি আবেগপূর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। সেই বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর এটি ছিল তার দেশের বাইরে প্রথম সফর।
এবারের সফর নিয়ে ইউক্রেনের আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে তার বক্তৃতায়, জেলেনস্কি যুদ্ধের প্রচেষ্টায় অর্থায়নে সহায়তা করার জন্য আমেরিকানদের ধন্যবাদ জানান। এবং বলেন সহায়তার অর্থ ‘দাতব্য নয়’, বরং বিশ্ব নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রে একটি ‘বিনিয়োগ’।
জেলেনস্কির আসন্ন সফরের বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি। হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল জেলেনস্কির পরিকল্পনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে ট্রেজারি ও স্টেট বিভাগ ঘোষণা করেছে যে তারা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সঙ্গে যুক্ত ১৫০ এর অধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ‘রাশিয়ার সামরিক সরবরাহ ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে নিরলস কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং (রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিনকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার বর্বর যুদ্ধ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, প্রযুক্তি ও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছে।’
যুদ্ধ দ্বিতীয় বছরে চলে আসার পর থেকে ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত তহবিল প্রদানের বিষয়ে কংগ্রেস ক্রমবর্ধমানভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। বাইডেন ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত সামরিক সহায়তার জন্য ১৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ও মানবিক সহায়তার জন্য ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ চেয়েছেন।
তবে রক্ষণশীল রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা বিস্তৃত ফেডারেল ব্যয় হ্রাসের জন্য চাপ দিচ্ছেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্রদের মধ্যে কয়েকজন বিশেষভাবে ইউক্রেনে অর্থ সহায়তা বন্ধ করতে চাচ্ছেন।
                
              
																
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    





































