পশ্চিমা সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) শীর্ষ সম্মেলন লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধে করণীয় এবং পশ্চিমা জোটের দেশটির সদস্যপদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
এছাড়া সম্মেলনের ন্যাটোর ৩১টি সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়াকে দেখাতে চায় যে তারা ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদদে সামরিক সহায়তা দেওয়ার সংকল্প রাখে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক বছরের নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে সুইডেনের সদস্যপদ দেওয়ায় সম্মতি জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। বিষয়টিকে ঐতিহাসিক দিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন জোটের মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ। সোমবার তিনি জানান, সুইডেন সদস্যপদ পেতে রাজি হয়েছেন এরদোয়ান।
তবে ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এ সম্মেলনের শেষে কিছু মিত্র কিয়েভকে ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে নতুন নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবে। তারা আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের বিষয়েও আলোচনা করবে।
সদস্যপদ ইস্যুতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশটি যেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারে। এছাড়া এটি কীভাবে এবং কখন অর্জন করা যেতে পারে তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করার কথাও বলেছেন।
ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, “এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত যে ইউক্রেনের বিষয়ে আমাদের ঐক্য এবং একটি শক্তিশালী বার্তা থাকবে এ সম্মেলনে।”





































