শিশুরা খাবার নিয়ে মর্জি করবেই। সুস্বাদু খাবার না হলেই আপত্তি। স্বাস্থ্যকর খাবারে তো অনিহা বেশি থাকে শিশুদের। শুধু চকলেট, কোক, চিপস এসব পেলেই খুশি। এসব খাবার শিশুর ইচ্ছে তো মেটেই কিন্তু স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না। বিপাকে পড়েন অভিভাবকরা। শিশুদের মধ্যে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। শিশুর স্বাস্থ্য রোগা হয়ে থাকে। এই অবস্থায় শিশুদের ওজন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকে অভিভাবকরা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, শিশুদের খাবারে অরুচি থাকতেই পারে। এক্ষেত্রে শিশুদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অবশ্যই অন্য খাবারগুলোতেও নজর দিতে হবে। শুধুমাত্র ভাতজাতীয় খাবারেই স্বাস্থ্য উন্নতি হবে তা নয়। পুষ্টিকর অন্য খাবারগুলোও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো করে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতে শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে যেসব খাবার উপযোগী তা জানাব এই আয়োজনে_
ডাল
ডাল শিশুদের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। ডালে প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফাইবার থাকে। এগুলো শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। রোগা ভাব কেটে যায়। শিশুকে মুগডাল খাওয়াতে পারেন। খিচুরি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। এছাড়াও কয়েকটি ডাল মিলিয়ে গুড়ো করে তা দিয়ে শিশুর খাবার তৈরি করলেও শিশু পুষ্টি পাবে।
কলা
কলা শিশুর ওজন বাড়াতে সবচেয়ে কার্যকর। শিশুকে কলার শেক তৈরি করে খাওয়ান। তাছাড়া কলার পুডিং, কেক বানিয়েও খাওয়াতে পারেন। শিশু এসব সুস্বাদু খাবারে আপত্তি করবে না। কলাতে ভিটামিন এ,বি,বি৬,সি রয়েছে। আরও পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন পটাশিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড। যা শিশুর স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক।
ডিম
শিশুর খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ডিম রাখুন। প্রোটিনের সেরা উৎস এটি। এছাড়াও ডিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে। যা শিশুর পরিপূর্ণ পুষ্টি জোগায়। ডিম সেদ্ধ করে খাওয়াতে পারেন। তাছাড়া ডিম দিয়ে মজাদার অনেক পদই রান্না হয়। যা শিশুরা খুব পছন্দ করে। সেগুলো বানিয়ে খাওয়াতে পারেন।
ঘি
শিশুর খাবার ঘি দিয়ে তৈরি করুন। পাউরুটিতে ঘি আর চিনি মাখিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এতে শিশুর ওজন বাড়বে। ঘি-তে থাকা ভিটামিন এ, ডি, পটাশিয়াম, মিনারেল, ফসফরাস শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।
বিশেষ পরামর্শ
শিশুরা জিনগত বা বংশগত কারণেও শুকনো হতে পারে। ওজন বাড়ানোর জন্য় পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরও শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি না হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। শিশুকে খাবারের জন্য কখনও জোর করবেন না। খাবারের প্রতি অনিহা এলে শিশুকে খাওয়ানো কষ্টকর হয়ে যাবে।
সূত্র: চাইল্ড হেলথ