ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের হিন্দু পাড়ায় অজ্ঞাতনামা লোকজন ভাঙচুর, লুটপাট এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ করে।
এ ঘটনায় আলদাদপুর ছয়আনি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ রায় (৫৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০০০/১২০০ জনের বিরুদ্ধে গংগাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় যৌথ অভিযানে ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে শনিবার (২৬ জুলাই) আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের এক হিন্দু কিশোর শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই কিশোরকে থানায় নেওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেদিন সন্ধ্যায় পাশের এলাকা থেকে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে ছেলেটির গ্রামে প্রবেশ করে। তারা বাড়িঘরে হামলা চালায়।
‘উত্তেজিত জনতা’ শনিবার রাত ও রোববার (২৬ ও ২৭ জুলাই) বিকালে ওই কিশোরের বাড়িসহ ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের’ বাড়িগুলোতে ভাঙচুর চালায়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ ঘটনার পর সোমবার আতঙ্কে লোকজন বাড়ি ছেড়ে যায়। মঙ্গলবার থেকে তাদের কেউ কেউ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তবে ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী রবীন্দ্রনাথ রায় গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় রাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”