পুষ্টিগুণে ভরপুর আতা ফল। ইংরেজিতে এর অনেক নাম আছে। কাস্টার্ড অ্যাপেল, সুগার আপল আবার কেউ সুগার পাইন অ্যাপেল বলেও ডাকে এই ফলটিকে। এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যেই আতা গাছে ফুল ধরে। ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যেই ফলন হয়। সেই হিসাবে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আতা ফল পেকে যায়। এই ফলটি দেখতে হৃৎপিণ্ডের আকৃতির মতো। প্রচুর আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাদ্যোপদানেও ভরপুর। এই ফলের মধ্যে অসংখ্য বীজ থাকে। বীজগুলো কিন্তু বিষাক্ত। পাকা আতার শাঁস মিস্টি হয়। খাওয়ার সময় জিভে চিনির মতো মিহি দানা দানা লাগে।
আতা ফলের পুষ্টিগুণ নিয়ে জানাব আজকের এই আয়োজনে_
- ডায়াবেটিস রোগীরা নিঃসন্দেহে আতা ফল খেতে পারেন। একে বিশেষ ধরনের ফাইবার আছে। যা চিনির শোষণ কমিয়ে দেয়। এতে থাকা বায়োএক্টিভ অণুগুলো ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- শরীরে পিত্তজনিত সমস্যার কারণে জ্বালা অনুভব হয়। তারা আতা ফল খেতে পারেন। আতার শাঁসের রস দুর্দান্ত উপকারী। পাকা আতার রস ২ থেকে ৩ চা চামচ খেলে শরীরের জ্বালা কমে যাবে।
- আতা ফলে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যদি সর্দি লাগার কোনো সম্ভাবনা থাকে বা প্রবণতা থাকে তাহলে আতা ফল খেতে পারেন।
- আতা ফলে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। এই ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত রাখতে জন্য সাহায্য করে।
- রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম থাকলে আতা ফল খান। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এই ফল সহায়তা করে।
- আতা ফল আলসার ও অ্যাসিডিটি প্রতিরোধেও কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার ও অন্যান্য মিনারেল রয়েছে।
- আতা ফলের মধ্যে আছে ভিটামিন বি৬ রয়েছে। যা শ্বাসনালির প্রদাহ কমায়। ভবিষ্যতে হাঁপানি থেকে বাঁচতে চাইলে আতা খান। এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমে।
- আতা ফলে রয়েছে পটাশিয়াম। যা রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। আতায় আছে নিয়াসিন ও ফাইবার, যা প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়।
- বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ আতা ফল শরীরের জন্য খুব উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের কর্নিয়া ও রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখে।
- সন্তান প্রসবেব পর আতা ফল খেলে স্তনের দুধের উত্পাদন অনেকটাই বেড়ে যায়।
- গর্ভাবস্থায় আতাফল খান। গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। সকালের দুর্বলতা দূর করবে। আপনার শারীরিক ব্যথার উপশম ঘটায় এই ফল।
- আতা ফলের গুঁড়ো এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেলে, আপনার ডায়রিয়া সমস্যা মুহূর্তে ঠিক হয়ে যেতে পারে।
- আতা গাছের পাতার নির্যাস স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি স্তনের মধ্যে থাকা বিষাক্ত টক্সিনকে দূর করতে সাহায্য করে।