করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, একবার করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি আবারো ওমিক্রনে সংক্রমিত হতে পারে। উপসর্গও থাকে মৃদু। তাই ওমিক্রন শনাক্ত হলে তা তাত্ক্ষনিক বুঝতে পারা কষ্টকর। তবে এই খবর শঙ্কা বাড়িয়েছে ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে।
সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। যার ফলে যে কোনো রোগ সহজেই তাদের হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, করোনাভাইরাসে প্রভাব ডায়াবেটিক রোগীদের ওপর সাংঘাতিক মাত্রায় পরে। প্রথম থেকেই ঠিক এসব রোগীদের ভীষণ সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, তবে প্রথমেই নিজে সতর্কতা অবলম্বন করুন। সবার আগে করোনার দুই ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন। কোনোভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। নিজেকে ভাইরাস থেকে দূরে রাখতে মাস্ক, স্যানিটাইজার অবশ্যই ব্যবহার করবেন।
ওমিক্রন গবেষকদের মতে, এই ভ্যারিয়েন্টে মিউটেশন সংখ্যা সাধারণ সুস্থ শরীরকে আক্রমণ করতেই সক্ষম। সেখানে ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে ইমিউনিটি আগে থেকেই কম থাকে। করোনা ভ্যাকসিন কাজ করতে দেরি হয়। ফলেই টি সেলের মাত্রা সহজে বৃদ্ধি পায় না। এতেই ওমিক্রন ডায়াবেটিক রোগীদের সহজেই আক্রান্ত করতে পারে।
ডায়াবেটিক রোগীদের যাদের ওজন বেশি তাদেরকে আরও বেশি সতর্ক করেছেন গবেষকরা। তাদের মতে, ওজন বেশি থাকা ডায়াবেটিস রোগীদের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি। নিজেকে সুস্থ রাখতে সময়মতো ইনসুলিন নিতে হবে। শ্বাসযন্ত্রের ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত। ঠান্ডা খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। বাড়ির ভেতরেই চেষ্টা করতে হবে ব্যায়াম করার।
ওমিক্রন সংক্রমন এড়াতে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারেও বদল আনতে হবে। চিকিৎসকদের মতে, অন্যান্য় সময়ের তুলনায় আরও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর ডায়েট থাকলে ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে তা খুবই কার্যকরী। বিশেষ করে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার ইনফেকশন এবং ভাইরাসের হাত থেকে অনেকটা বাঁচাতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের বাদাম জাতীয় খাবার, ফল এবং ভিটামিন সি ও এ সমৃদ্ধ সবজি এগুলো খেতে হবে। শরীরের ডিএনএ-কে আরও উজ্জীবিত করে তুলতে হবে। এর ফলে ইমিউনিটি আরও বাড়বে।
ডায়াবেটিসের সঙ্গে যাদের ব্লাড সুগার রয়েছে তাদের নিয়মিত চেকআপে থাকতে হবে। অন্তত ৩ মাস পর পর চেকআপ করাতে হবে। এছাড়াও করোনা ভ্যাকসিনের দুই ডোজসহ বুস্টার ডোজ নেওয়ার আগে অবশ্যই ব্লাড সুগার টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।