ব্লাড ব্লিস্টার মানে রক্ত জমাট বেধে যাওয়া। হঠাত্ আঘাত পেয়ে রক্ত জমাট বেধে যায়। দরজা বা জানালার ফাঁকে হাত কিংবা পা চিপে লাগলে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। আবার জুতা পড়লে বা অন্য যেকোনো কিছুতে ব্যথা লেগে ব্লাড ব্লিস্টার হতে পারে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি রক্ত জমাট হয়ে ফুলে ওঠে। অনেকক্ষেত্রে কালচেও হয়ে যায়। এতে চামড়া উপড়ে ফোস্কা পড়ে এবং প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
ব্লাড ব্লিস্টার অনেকসময় নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে সেরে উঠার আগ পর্যন্ত অনেকটাই ভুগতে হয়। ব্লাড ব্লিস্টারের এই ব্যথা দ্রুত সেরে উঠতে ঘরোয়াভাবে কিছু উপায় রয়েছে।
হলুদ ব্যবহার করুন
ব্লাড ব্লিস্টার সারিয়ে তোলার ভালো উপায় হচ্ছে হলুদ। এটি অ্যান্টিসেপটিক। হাফ চা চামচ হলুদ এবং হাফ চা চামচ মধু মিশিয়ে এই পেস্ট ব্যথার অংশে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ব্লাড ব্লিস্টার সেরে উঠবে।
লবণ পানিতে ভিজিয়ে নিন
ব্যথার স্থানটি হালকা গরম লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ব্লাড ব্লিস্টারের কারণে ফোস্কা পড়লে তা সহজেই সেরে উঠবে। হালকা গরম পানিতে হাফ কাপ লবণ মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রক্ত জমাটের স্থানটি ভিজিয়ে রাখুন। ব্যথা বেশি হলে দিনে দুই বার করতে পারেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন
ফোস্কা সারাতে অ্যাপেল ভিনেগার বেশ উপকারী। এক চা চামচ ভিনেগারের সঙ্গে এক চা চামচ পানি মেশান। এবার এটি একটি তুলায় ভিজিয়ে নিয়ে ব্যথার স্থানে রাখুন। ভালো হয়ে যাবে। তবে খেয়াল রাখবেন ব্লাড ব্লিস্টারের কারণে চামড়া ফেটে গেলে এটি প্রয়োগ না করাই ভালো।
গ্রিন টি ব্যাগ
গ্রিন টি ব্যাগ রক্ত জমাটের স্থানে দিয়ে রাখুন। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে। টি ব্যাগটি গরম পানিতে ভিজিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার এটি ফ্রিজে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ফ্রিজ থেকে বের করে ব্লাড ব্লিস্টারের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এটি আপনাকে আরাম দিবে। ব্যথা কমাবে।