বেল নামক ফলের কথা শুনলে অনেকের মধ্যেই একটু নাক উচু ভাব খেয়াল করা যায়। তবে কদবেলের নাম শুনলে বিষয়টা একটু অন্যরকম। একেবারে জিভে পানি আসার পরিস্থিতি। টক এবং হালকা মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি পছন্দ করেন না, এমন খাদ্য প্রেমিক পাওয়া যাবে না।
স্বাদের পাশাপাশি কদবেলের পুষ্টিগুণ অনেক। যা নিয়মিত খেলে শরীর হবে সুস্থ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কদবেলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে-
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে
কদবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ূর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার হয়।
ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করে
কদবেলে আছে ট্যানিন নামের একটি বিশেষ উপাদান। যা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করে। কাঁচা কদবেল ছোট এলাচ, মধু দিয়ে মাখিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়। এই ফলের নির্যাস কলেরা এবং পাইলসের জন্য প্রতিষেধক ওষুধ হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও কদবেল গাছের বাকল মধু সঙ্গে মিশ্রিত করে খেলে পেটের রোগ আমাশয় ভালো করে।
কিডনির জন্য ভালো
কদবেল উদ্দীপক ও মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় আয়ূর্বেদ শাস্ত্রে। এ ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষিত রাখে। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যায় কিডনি সমস্যা দূর করার জন্য সেরা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতো কদবেল। ফলটি যকৃত ও হৃৎপিণ্ডের জন্যও বিশেষ উপকারী।
শ্বাসযন্ত্রের রোগে কদবেল
কদবেল পাতার নির্যাস শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দুধ-চিনির সঙ্গে কদবেলে পাতা মিশিয়ে এক ধরনের খাদ্য তৈরি হয়। এই রস শিশুদের পেট ব্যথার চিকিৎসায় চমৎকার কাজ করে।
রক্ত পরিষ্কার করে
কদবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বুক ধড়ফড় এবং রক্তের নিম্নচাপ রোধেও সহায়ক। গুড় বা মিছরির সঙ্গে কদবেল মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
হেঁচকি বন্ধ হয়
পাকা কদবেল খেলে হেঁচকি ওঠা, গলা ব্যাথা এবং মাড়ির রোগের উপশম হয়। কদবেল গাছের ছালে প্রচুর পরিমাণ ট্যানিন এবং অ্যালকালয়েড রয়েছে। এটি পানির সাথে মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়া রোগের উপশম হয়।
পিত্তরোগ সারায়
কচি পাতার রস দুধ এবং মিছরির সাথে মিশিয়ে পান করলে ছোট ছেলে-মেয়েদের পিত্তরোগ ও পেটের অসুখ নিরাময় হয়। এছাড়াও কদবেল মূত্রবর্ধক, বমিভাব দূরকারক এবং কফ নিঃসারক হিসেবে কাজ করে।