কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার নয়া দিল্লি যেভাবে পাকিস্তানকে দোষারোপ করছিল, তাতে মনে হচ্ছিলই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত আসন্ন। বিপরীতে পাকিস্তানও কাশ্মীর সীমান্তে যেভাবে উসকানি দিচ্ছিল, তাতে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারত পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালালে সংঘাত আনুষ্ঠানিক রূপ নেয়। এই হামলায় ভারত এক দিনেই ১০০ কোটি ডলার বা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি রুপির সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে।
জার্মানির বার্লিনভিত্তিক ব্যবসাকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম বিএনই ইন্টেলিনিউজের খবরে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুরের’ অংশ হিসেবে ভারত ৬ মে রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের ৯টি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালায়। এই অভিযান ৩০ মিনিটের কম সময় স্থায়ী হয়। তবে এই অভিযানে ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান খোয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরাসি গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ভারত ফ্রান্সের সরবরাহ করা রাফাল যুদ্ধবিমানের অন্তত একটি হারিয়েছে। ফরাসি কোম্পানি ড্যাসল্ট অ্যাভিয়েশন নির্মিত রাফাল ভারতীয় বিমানবাহিনীর সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমান।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর বহরে থাকা ৩৬টি রাফালের ঠিক কতটি ‘অপারেশন সিন্দুরে’ অংশ নিয়েছিল বা কতটি হারানো গেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এক্স প্ল্যাটফর্মে ভারতবিরোধী হিসেবে পরিচিত ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা কিছু ছবিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর চিহ্নযুক্ত একটি অক্ষত রাফাল বিমানের পেছনের অংশ দেখা গেছে। এসব ছবিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে বিএস-০০১ সিরিয়াল নম্বরের বিমানটি সম্ভবত খোয়া গেছে।
পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর জে-১০ যুদ্ধবিমান (যা ভারতের প্রধান কৌশলগত হুমকি চীনের সরবরাহকৃত) থেকে সম্ভবত ছোড়া পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফাল ভূপাতিত হয়েছে এমন কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তবে এই দাবিটি নয়াদিল্লির প্রতিরক্ষা নীতিনির্ধারকদের জন্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির ইঙ্গিত বহন করে।
কেবলমাত্র আর্থিক দিক থেকে বিবেচনা করলেও পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ভারতীয় বিমানগুলোর ধরন, সংখ্যা এবং ক্ষতির প্রকৃতি সঠিক হলে একদিনেই ভারতের সামরিক সরঞ্জাম বাবদ ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি রুপির ক্ষতি হয়েছে।