পেটের সমস্যায় বেশ কার্যকরী ইসবগুল। এটি পেট পরিষ্কার করবে, হজমশক্তিও বাড়াবে। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ থাকবে ওজন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইসবগুল খেলে খিদে কম পায়, আর খাবার কম খেলেই কমে ওজন। এটি শরীরের পানি শোষণ করে রাখে। তাই পেটও ঠান্ডা থাকে।
শীতে পার্টি হচ্ছে। পার্টিতে খেয়ে ওজন বাড়ছে। তাই বাড়িতে থাকাকালীন ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। অধিকাংশেরই খাবার খেয়ে গ্যাস-অম্বল শুরু হয়। এরপর কোষ্ঠকাঠিন্য। পেট পরিস্কার না হলে অস্বস্তি লাগে। অস্বস্তিতে ঘুমও কম হয়। সবমিলিয়ে ওজনে বাড়তে থাকে।
বাঙালির ঘরেই থাকা ইসবগুল দিয়েই ওজন কমানো যাবে। কারণ পেট পরিষ্কার রেখে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতেই সঙ্গে সঙ্গে ওজন কমাতেও সাহায্য করে ইসবগুল।
যেভাবে কাজ করে_
ইসবগুলের পোশাকি নাম সাইলিয়াম হাস্ক। প্লান্টাগো ওভাটার গাছের বীজ থেকে পাওয়া যায় এই ভুসি। এর মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। সাধারনভাবে রেচনে সাহায্য করে ইসবগুল। কোষ্ঠকাঠিন্যের সহজ সমাধান। প্রতিদিন ইসবগুল খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় এবং শরীরের সব অন্ত্রও ঠিকমত কাজ করে।
ইসবগুল শরীরের পানি শোষণ করে। তাই প্রতিদিন ইসবগুল খেলে আমাদের পেটেও একটা পানির স্তর তৈরি হয়। এতে আমাদের খুদা কম লাগে। প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় অন্ত্রের মধ্যে পানি চলাচল ঠিকমতো করতে পারে। যা দীর্ঘক্ষণ পেটে থাকে। ফলে দ্রুত ওজন কমে।
ইসবগুল ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল থেকে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য় করে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল স্বাস্থ্যর জন্যেও ভালো ইসবগুল।
ইসবগুল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে শরীরকে প্রস্তুত করে।
প্রতিদিন ইসবগুল খেলে শরীরের শক্তি সঞ্চারিত হয়। শরীরকে অনেক বেশি কর্মক্ষম করে তোলে। এতে শরীরেও ওজন কমে দ্রুত।
ইসবগুল কোলনকে পরিষ্কার রাখে। ফলে পেট পরিষ্কার থাকে। পেট পরিস্কার হলেই চর্বি জমার সম্ভাবনা কমে যায়। যা চর্বি গলাতেও সাহায্য রয়েছে।
কারা ইসবগুল খাবেন না_
- দীর্ঘ মেয়াদী কোনো রোগে ভুগলে ইসবগুল খাবেন না।
- সদ্য মা হতে চলেছেন অবশ্যই ইসবগুল থেকে দূরে থাকবেন।
সূত্র: হেলথ লাইন