• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

মানুষ ভুলে যায় কেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
মানুষ ভুলে যায় কেন
ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক একটি বিষয় । ছবি : সংগৃহীত

ভুলে যাওয়া খুব সাধারণ ও স্বাভাবিক একটি বিষয়, যেটি মস্তিষ্ক দ্বারা পরিচালিত হয়। মস্তিষ্কে সংরক্ষিত পূর্বের কোনও তথ্য যদি মস্তিষ্ক নতুন করে পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানে সেটিকে ভুলে যাওয়া বলা হয়। যেমন কোনও জিনিস এক জায়গায় রেখে দিয়ে পরবর্তিতে সেটি আর মনে করতে না পারা। 

কারও নাম ভুলে যাওয়া অথবা পরীক্ষার হলে বসে উত্তর মনে করতে না পারা। তবে, এই ভুলে যাওয়া সাধারণত স্মৃতি থেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য হারিয়ে যাওয়া নয়। ভুলে যাওয়া মূলত মস্তিষ্কের স্মৃতি পুনরুদ্ধারজনিত সমস্যা। 

আমরা যখন নতুন কোনও পরিবেশে যাই, নতুন কিছু দেখি বা শুনি প্রাথমিক অবস্থায় সেসব ঘটনা আমাদের মস্তিষ্কে রেখাপাত ঘটায়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্বল হতে শুরু করে। বৈজ্ঞানিকদের গবেষণা অনুযায়ী, ভুলে যাওয়ার কিছু স্তর রয়েছে। যেমন, হস্তক্ষেপ। হস্তক্ষেপ হলো, কিছু স্মৃতি মস্তিষ্কে জমা হওয়া অন্যান্য স্মৃতির ওপর হস্তক্ষেপ করে। পূর্বের সংরক্ষিত কিছু তথ্যের সঙ্গে নতুন কোনও তথ্য যদি মিলে যায়, তাহলে এই হস্তক্ষেপ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

মস্তিষ্ক অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকে। এক্ষেত্রে মস্তিষ্ক কোনও একটি জিনিসকে অন্য জিনিস থেকে আলাদাভাবে মনে রাখার জন্য একটি কাজ করে তা হলো, খুঁটিনাটি তথ্যগুলোকে এড়িয়ে যায়। 

এজন্যই প্রতিদিন দেখা কোনও জিনিসকে যদি বর্ণণা করতে বলা হয়, তাহলে খুঁটিনাটি অনেক কিছুই মনে করতে পারি না আমরা। কারণ, এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো দীর্ঘ স্মৃতিতে প্রথম স্থানে ধারণ করা হয়নি।

অন্যদিকে, কোনও তথ্য যখন আমরা পর্যালোচনা করে গ্রহণ করি তখন তা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি মেমরিতে জায়গা করে নেয়। তখন এটিকে আমার ভুলতে পারি না। গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন কিছু শেখা আমাদের মস্তিষ্কের চালিকা শক্তিকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। যা মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখে এবং ভুলে যাওয়ার প্রবণতা একেবারেই কমিয়ে দেয়। তাই মস্তিষ্ককে যত বেশি নতুন নতুন অভিজ্ঞতা দিয়ে ব্যস্ত রাখা হবে, ততই সক্রিয় থাকবে। এবং ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে দূরে থাকবে।

তবে ভুলে যাওয়ার ঘটনা যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

Link copied!