শত শত বছর ধরে রান্নায় ব্যবহার হচ্ছে রসুন। এর প্রধান কারণ রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ। রসুনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থায়ামিন, ফসফরাস, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ খনিজগুলোরয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সম্প্রতি এনডিটিভির-এক প্রতিবেদনে এসেছে রসুন খা্ওয়ার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। চলুন এক নজরে রসুন খাওয়ার ১০ উপকারিতার কথা জেনে নেই।
কার্ডি্ওভাসকুলার উন্নতি করে
বর্তমানে যেকোনও রোগের তুলনায় হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কার্ডি্ওভাসকুলার অবস্থায় থেকেই মানুষ মারা যাচ্ছে বেশি। এজন্য উচ্চ রক্তচাপ কমানো ভীষণ দরকার। আর এটি কমাতে রসুনের ভূমিকা অনেক বেশি।
হজমের জন্য ভালো
খাদ্য তালিকায় কাঁচা রসুন রাখুন। এটি হজম সমস্যায় সাহায্য করে। অন্ত্রের কৃমি দূর করে। এছাড়া এর গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো, এটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে রক্ষা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
কাঁচা রসুন ব্যবহার করে সর্দি-কাশির সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে রসুনের দুটো ফালি কুঁচি কুঁচি করে খেলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে
লিভারের কোলেস্টেরল তৈরির ক্ষমতা কমাতে সাহায্য করে রসুন। একটি মেটা-বিশ্লেষণ এবং গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন কোলেস্টেরল এবং উচ্চ এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ
সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা যায়, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রসুনের বিশেষ ক্ষমতা আছে। কিছু রাসয়নিক বিপদজনক ব্যাকটেরিয়াকে সুস্থ কোষে সংক্রমিত হতে বাধা দিতে পারে এটি। এর বৃদ্ধিও রোধ করে।
প্রদাহরোধী ক্ষমতা
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, রসুনের প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর্থ্রাইটিসের প্রভাব কমানোর উপায় হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া যে কোনও ব্যথা, ফোলা জয়েন্ট বা পেশিতে রসুনের তেল লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে
কাঁচা রসুন লাগালে ব্রণ দূর হয়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলীর জন্যই এটা সম্ভব হয়। তবে রসুন ত্বকে লাগানোর আগে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলতে হবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
গবেষণায় জানা যায়, বাড়িতে তৈরি রসুনের নির্যাস ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্রিডেন্ট তৈরি করে
রসুনে ২০টিও বেশি পলিফেনলিক উপাদান আছে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এ ছাড়া ক্যান্সার,ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেসসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমায়।
রক্ত জমাট বাঁধা কমায়
এটা প্রমাণিত, রসুন শরীরের প্লেটলেটগুলোর আঠালো ভাব কমায়। অ্যান্টি-ক্লোটিং ক্ষমতা ঠিক রাখে। এর ফলে ধমনী শক্ত হয়।
সবশেষে বলাই যায়, সুস্থ থাকার জন্য দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় জাদুকারী এই সবজি রাখতে পারেন।