• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শীতে হার্ট অ্যাটাক বেশি হয় কেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৩, ০৮:১৬ পিএম
শীতে হার্ট অ্যাটাক বেশি হয় কেন
হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ছবি : সংগৃহীত

চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ট অ্যাটাকের নাম মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক অবস্থা যা হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ বন্ধ বা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তৈরি হয়। আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশের মতো হৃদয়ের পেশীকেও সচল রাখার জন্য পুষ্টি বা অক্সিজেন সরবরাহের দরকার হয়। 

চিকিৎসকের মতে, মানুষের শরীরে করোনারি আর্টারি নামে ধমনী পুষ্টি যোগায় হৃৎপিণ্ডে। মেদ ও কোলেস্টেরল জমে করোনারি আর্টারির এক বা একাধিক জায়গায় ব্লক হলে রক্তপ্রবাহ কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই হৃদপেশী ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এটি বলা হয় হার্ট অ্যাটাক। বিভিন্ন বয়সেই এটি হতে পারে। তবে শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। 

কারণ শীতের সময় শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য হৃৎপিণ্ডকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। হৃদযন্ত্র দুর্বল থাকলে বেশি পরিশ্রম করতে গিয়ে সমস্যা হয়। তখন শরীর ঠান্ডা হয়ে দেখা দিতে পারে হাইপোথার্মিয়া। এর ফলে হৃদপেশীর ক্ষতি হয় যা থেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। 

আরেকটি কারণ হলো, শীতে ঠান্ডায় শরীরের রক্তবাহী নালী সঙ্কুচিত হওয়ার ফলে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। হার্টের করোনারি আর্টারিতে এই কারণে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হলে হৃদপেশীতে অক্সিজেন সরবরাহ কম বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে হৃদপেশী ঠিকভাবে কাজ করতে না পারলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
হার্ট অ্যাটাকের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো বুকে ব্যাথা। ব্যথাটা ক্রমশ বাড়তে থাকে। ব্যথা বুক থেকে হাত, ঘাড়, গলা, চোয়াল পর্যন্ত উঠে আসে। অস্বস্তি বা দম ফুরিয়ে যাওয়া অনুভব হয়। তারসঙ্গে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, ঘুমাতে সমস্যা, পেটে অস্বস্তি, জ্বালাভাব, বুক ধড়ফড় করা, অত্যধিক ঘাম। অনেকসময় এসব কিছুই থাকে না। একে বলে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক। একটা মৃদু অস্বস্তি, দম চাপা ভাব, যেন পেটে গ্যাস হয়েছে এমনটা মনে হয়।

হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, যেখানে এর চিকিৎসা হয়। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা দরকার। দেরি হলে বড় সমস্যা হতে পারে। তাই বুকে ব্যথার সঙ্গে ধড়ফড় ভাব, অস্বস্তি, ঘাম দেওয়ার মতো উপসর্গ হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকতে হবে।

Link copied!