• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ ও করণীয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩, ১১:০০ এএম
প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ ও করণীয়

প্যানিকের অর্থ আতঙ্ক। আমাদের ব্রেইনের ভেতরে বেশকিছু অংশ আছে। কিছু আছে কষ্টের কেন্দ্র, কিছু আছে রাগের কেন্দ্র, কিছু আনন্দের কেন্দ্র আর কিছু ভয়ের। আমরা যখন বিপদে পড়ি তখন ব্রেইন আমাদের সিগন্যাল দেয় যে এখন ভয়ংকর কিছু ঘটছে। তখন হয় আত্মরক্ষার চেষ্টা করি, নয়তো ফ্রিজ হয়ে যাই। ব্রেইনের মেকানিজম এমন যে সে আমাদের সিগন্যাল দেবে যেন আমরা পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারি। আর সেটা সে দেবে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে। কিন্তু কখনো কখনো ভয়াবহ ঘটনা না ঘটলেও ব্রেইন মনে করে অ্যাটাক হতে যাচ্ছে। এগুলোই হল প্যানিক অ্যাটাকের মূল বৈশিষ্ট্য।

কম সময়ের মধ্যে যেসব লক্ষণ দেখা যাবে
ঘামতে থাকা
বুক ধড়ফড় করা
হঠাৎ করে প্রচন্ড ভয়
শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
বুকে ব্যথা
হাত পা কাঁপা
গরম অনুভব হওয়া বা ঠাণ্ডা অনুভব হওয়া
মাথা ঘোরানো
গা বমি বমি করা
সারা দেহ অসাড় হয়ে আসা বা শিরশির করা
ডি-রিয়ালাইজেশন (সকলের থেকে দূরে চলে যাওয়ার অনুভূতি)

করণীয়
এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হলে রোগীকে মানসিক রোগের চিকিৎসক বা সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যেতে হবে। বিএসএমএমইউ এর চিকিৎসক ঈশিকা চৌধুরী বলেন, শুধু সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিংয়ে এ রোগ সারবে না, ওষুধও নিতে হবে। পরবর্তী সময়ে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি দিয়ে দেখতে হবে যেন বারবার এমন অ্যাটাক না হয়। তবে ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্টের কাছে এ রোগের সমাধান মিলবে না। শুধু মুখের কথায় কাউন্সেলিং দিয়ে উপকার পাওয়া যাবে না। সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে ওষুধও পাওয়া যাবে, আবার কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপিও পাওয়া যাবে। যদিও কেউ কেউ মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধায় থাকেন। সেক্ষেত্রে তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে তাকে বোঝাতে হবে যে এটা এমন রোগ যা সারাতে মানসিক ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং নিয়মিত চিকিৎসা নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

Link copied!