শীতকাল এলে নানারকম ভাইরাসজনিত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায় হু হু করে। আর তা সংক্রমিত হতে থাকে মানুষের শরীরে। বড় থেকে ছোট কমবেশি সকলেই ভোগে। তাই এই সময় বিশেষ করে শিশুদের প্রতি অতিরিক্ত খেয়াল রাখতে হয়।
শীতের সংক্রমিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আমাশয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগ হলে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। আমাশয় হলে অন্ত্রে প্রদাহের সৃষ্টি হয়, পেট ব্যথা, শ্লেষ্মা, রক্তসহ পাতলা পায়খানা হতে থাকে। শিশু তখন প্রচন্ড অস্বস্থিবোধ করে। চলুন আজ জেনে নিই শীতে শিশুর আমাশয় হলে কী করবেন-
কারণ
অ্যান্টোমিবা হিস্টোলাইটিকা নামক জীবাণুর সংক্রমণে আমাশয় হয়ে থাকে। এটি মূলত পানিবাহিত রোগ। খোলা খাবার, পচা-বাসি খাবার, কিংবা দূষিত পানি গ্রহণ করলে এ রোগের সংক্রমণ হতে পারে।
শহর অঞ্চলে রাস্তার পাশের খোলা খাবার খেলে এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে যারা যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করেন, নদী ও পুকুরের পানি পান করেন, তারা এ রোগে আক্রান্ত হন বেশি।
লক্ষণ
- অন্ত্রে প্রদাহ হওয়া
- বারবার পেটে মোচড় দেওয়া
- মলের সঙ্গে শ্লেষ্মা মিশ্রিত হওয়া
- ২০-৩০ বার পর্যন্ত পায়খানা হওয়া
- মলের সঙ্গে রক্তও মিশ্রিত থাকতে পারে।
প্রতিরোধ
- শিশুকে বাইরের খাবার খেতে দেওয়া যাবে না।
- পানি ফুটিয়ে পান করাতে হবে।
- খাওয়ার আগে-পরে, শৌচাগার ব্যবহারের পরে, শিশুকে পরিষ্কার করার পরে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
- খাদ্যদ্রব্য ঢেকে রাখতে হবে যেন মাছি বা পোকামাকড় না বসে।
- যেকোনো ফল খাওয়ার আগে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে খেতে দিতে হবে।
- যেসব পাত্রে শিশুকে খাওয়ানো হবে সেগুলো অবশ্যই পরিষ্কার পানিতে ধুতে হবে।
প্রতিরোধের উপায়গুলো জানা রইলো। এরপরও শিশুর আমাশয় হয়েছে বুঝতে পারলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।