• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

লিপিড প্রোফাইল টেস্ট কী? রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে করণীয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
লিপিড প্রোফাইল টেস্ট কী? রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে করণীয়
ছবিঃ সংগৃহীত

রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ জানার একটি পরীক্ষা হচ্ছে লিপিড প্রোফাইল। অর্থাৎ এই পরীক্ষা দিয়ে রক্তে কোলেস্টেরল এবং চর্বির পরিমাণ পরিমাপ জানা যায়। যদিও এই টেস্টের মাধ্যমে কোলেস্টেরল শুধু না, লিপিড প্রোফাইলে আরও দেখা হয় এইচডিএল (হাই-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন), এলডিএল (লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন) এবং ট্রাই গ্লিসারাইড দেখা হয়। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ডাক্তাররা লিপিড প্রোফাইলের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে ৪০ বছর বয়সের পর সবারই এই পরীক্ষা করা উচিত। কারণ, লিপিড প্রোফাইল বেশি থাকলে এ থেকে হৃদ্‌রোগ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কখন লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করা জরুরী
বাম হাতে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ওপরের পেটে অস্বস্তি বা ব্যথা, স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বা অতিরিক্ত ঘাম, শ্বাস নিতে সমস্যা, দাঁতে ব্যথা, মাথাব্যথা অথবা চোয়াল ব্যথা, বদহজম বা অম্বল, হাইপারটেনশন। এগুলোর যে কোনও একটি দেখা দিলেই ডাক্তারের পরামর্শে লিপিড প্রোফাইল করে নিন। 
শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুর যদি অধিক ওজন বা ডায়াবেটিস থাকে তাহলে তাকে আরো ঘন ঘন পরীক্ষা করতে বলা হয়।

রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে করণীয়
লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করার পর যদি রক্তে চর্বির পরিমাণ বেশি হয় তখন জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন আনা জরুরী।

  • সম্পৃক্ত চর্বি যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। আর যাদের রক্তে চর্বি বেড়ে যায় তাদের সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। গরু বা খাসির মাংস এবং ঘি-মাখনে যে চর্বি থাকে, সেটাই সম্পৃক্ত চর্বি। এগুলো বর্জন করুন। আর উপকারী অসম্পৃক্ত চর্বি আছে মাছের তেল, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারে। সেগুলো পরিমাণ মত খেতে হবে। 
  • নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম করতে হবে। এগুলো শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • মাখন, কলিজা, মগজ, অস্থিমজ্জা, চামড়া, চিংড়ি, পাঙাশ ও কাতল মাছ তৈলাক্ত খাবার। এসব পরিহার করতে হবে। একইভাবে বেকারির খাবার ও ফাস্ট ফুডে তেল উচ্চতাপে আংশিক হাইড্রোজেনেটেড হয়ে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাটে পরিণত হয়।
  • আঁশযুক্ত খাবার যেমন: যব, ভুট্টা, লাল আটার রুটি, ফলমূল, শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খাবেন। । এগুলো রক্তে চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
  • ফলের রস, টক দই, তাজা শাকসবজি খেতে হবে। এগুলোতে থাকে উদ্ভিজ্জ স্টেরল ও স্টেনল উপাদান যা, রক্তে চর্বি শোষণে বাধা দেয় ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে।  
  • রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
Link copied!