• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট, ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২, ১১ সফর ১৪৪৬

কানে ইয়ারফোন গুঁজে ঘুমালে যা হয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
কানে ইয়ারফোন গুঁজে ঘুমালে যা হয়
ছবি: সংগৃহীত

গান শুনতে কে না পছন্দ করেন। মিউজিক প্লেয়ারে এখন তেমন কেউ গান শুনেন না। কারণ হাতের মোবাইল ফোনেই এখন পছন্দের গান শোনা যায় সহজেই। আর মোবাইলে ফোনে ইয়ার বাডস লাগিয়ে শুনলে তো গানের সঙ্গে মন প্রাণ মিশে যায়। এমন অনুভূতি সবাই উপভোগ করেন।

কিন্তু অতিরিক্ত ইয়ারবাডস ব্যবহার কিংবা রাতে গান শুনতে শুনতে ইয়ারবাডস কানে নিয়েই ঘুমিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এমন অভ্যাসে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। যার কারণে হারাতে পারে শ্রবণশক্তিও। কারণ নিস্তব্ধ রাতে ইয়ারফোনের উচ্চ শব্দে শ্রবণশক্তির ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে করে কানের পর্দার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। এমনকি আপনি কানে শোনার ক্ষমতাও হারাতে পারেন।

এছাড়া দীর্ঘ সময় কানে হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহারে বাতাস চলাচল হয় না। যা কানের ভেতরের পরিবেশকে আর্দ্র করে তোলে। আর্দ্র পরিবেশে জীবাণু সংক্রমণ বেড়ে যায়। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও হতে পারে। কানে পানি জমা বা ইনফেকশনের মতো রোগ হয়। কানের টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ইয়ারফোনের অতিরিক্ত শব্দ সরাসরি কানে গেলে কর্ণকুহরে চাপ পড়ে। কানে ব্যথা শুরু হয়। মাইগ্রেনের সমস্যাও বেড়ে যায়। কানে ইয়ারফোন নিয়ে ঘুমালে কান ও এর আশপাশেও ব্যথা বা যন্ত্রণার অনুভূত হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথা ঘোরা, অস্থির অনুভূতি, কাজে একাগ্রতা ও মনোযোগের অভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়াও রাতে কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে গান শুনলে এর রশ্মি শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া এক খবরে বিষয়টি আবারও নজরে আসে। চীনের শাংডং প্রদেশের এক তরুণী ইয়ারফোন কানে লাগিয়ে প্রতিদিন গান শুনে ঘুমানোর অভ্যাস করেন। তিনি বহুজাতিক সংস্থায় ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন। হঠাৎ একদিন গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ঊর্ধ্বতনদের কোনো কথা শুনতে পান না। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক জানান, নিয়মিত কানে ইয়ারফোন দিয়ে গান শোনার অভ্যাসের কারণে তার শ্রবণশক্তি একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।

স্থানীয় চিকিৎসক জানান, কানের স্নায়ুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে শ্রবণশক্তি হারানো স্বাভাবিক ঘটনা। খুব জোরে গান শুনলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে। আবার একটানা অনেকক্ষণ গান শুনলেও এমনটা হতে পারে। এক্ষেত্রে ‘৬০-৬০’ নিয়ম মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ একটানা ৬০ মিনিটের বেশি কিছু শোনা যাবে না এবং শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের মধ্যেই থাকা ভালো হবে।

Link copied!