• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

অনলাইনে অর্ডার করা খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম
অনলাইনে অর্ডার করা খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর?
ছবি: সংগৃহীত

অনেকেই বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করেন। ঘরের যত ভালো রান্নাই হোক বাইরের খাবারই মজা লাগে। এছাড়াও বাইরের খাবার খেতে এখন বাইরেও যেতে হয় না। কারণ ঘরে বসেই অনলাইনে অর্ডার করে যেকোনো খাবার আনা যায়। তাই পেটের ক্ষুদা আর মনের ক্ষুদা মেটাতে এখন তেমন একটা কষ্টও করতে হয় না। তবে অনলাইনে অর্ডার করা বাইরের এই খাবার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গবেষকরা। তারা গবেষণায় প্রমাণও করেছেন, অনলাইনে অর্ডার করা যেকোনো খাবারের পুষ্টিগুণ বা গুণগত মান ভালো হয় না। তাই এসব খাবার মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

খাবার রান্না করতে ইচ্ছে না করলেই বা বাইরের খাবার খেতে ইচ্ছে হলেই মোবাইল ফোনটি হাতে নিয়ে অর্ডার করা করা। অনলাইনে অর্ডার করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই খাবার এসে হাজির হয়। সেই খাবার দেখে কি আর লোভ সামলানো যায়। বক্স খুলেই শুরু হয় ভোজন। তবে এসব খাবারের বক্সে বা প্যাকেটে প্রস্তুতকারক খাবারের কোনো পুষ্টিগুণ নির্দেশিত থাকে না। তাই বিশেষজ্ঞরা এসব খাবারে সতর্ক করেছেন।

সম্প্রতি এক গবেষণা শেষে বিশেষজ্ঞরা জানান, অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপে খাবার অর্ডার দিলে সহজেই ঘরে বসে মজাদার খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু এসব মজাদার খাবার থেকেই বাড়ছে স্বাস্থ্যের সমস্যা। কারণ এই ধরনের খাবারের উপাদান সম্পর্কে কোনও তথ্য থাকে না। বাজারে প্যাকেটজান নানা ধরণের খাবারে খাদ্যের গুণগত মান সম্পর্কে নানা তথ্য থাকে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্থার থেকে কেনা খাবারের প্যাকেটের পিছনে গুণাগুণের বিষয়ে বিস্তর লেখা থাকে। কিন্তু অনলাইনে অর্ডার করা খাবারে এই গুণাগুণের কোনও চিহ্নই থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে মাত্র ৬ শতাংশ অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ এই নিয়ম মেনে চলে।

খাবারের গুণাগুণ কতটা থাকে এই সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা জানান, খাবারের প্যাকেটের গায়ে লেখা নিউট্রিশনাল ইনফরমেশন অর্থাৎ পুষ্টিগত তথ্য মারফত তা জানা যায়। কিন্তু অনলাইনে বাড়িতে আসা খাবারের বক্সের গায়ে এমন কোনো তথ্যই থাকে না। তাই এসব খাবারে আদৌ কতটা গুণ রয়েছে তা জানার উপায় নেই।

পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন নামের আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গবেষণাটি প্রকাশ করেন। গবেষণায় উবেরইটস, মেনুলগ ও ডেলিভারু থেকে মোট ৪৮২টি মেনু বেছে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা যায়, মাত্র ছয় শতাংশ ক্ষেত্রে খাবারের পুষ্টিগত তথ্য দেওয়া হচ্ছে। বাকি ক্ষেত্রে খাবারের কোনো তথ্যই থাকে না। ক্রেতারাও অন্ধকারেই থেকে যান।

প্রধান গবেষক সিসি জিয়া জানান, খাবারের পুষ্টিগত তথ্য নিয়ে একাধিক গবেষণা আগেও  হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রেতারা অপুষ্টিকর ও অস্বাস্থ্যকর খাবারই বেশি পছন্দ করেন। যা থেকে শরীরে নানা রোগ বাসা বাধে। এমন জীবনযাপনে জেরেই নানা রোগ হয়। যে রোগগুলো মৃত্যু কারণ হয়ে দাড়ায়। হার্ট, কিডনি, লিভারের সমস্যা, পেটের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও বিভিন্ন ধরনের ক্য়ানসারও হতে পারে। যা জন্য দায়ী এসব অপুষ্টিকর ও অস্বাস্থ্যকর খাবার।

Link copied!