কিডনির সমস্যা মানেই সবচেয়ে ভয়ের একটি বিষয়। পানি কম খাওয়া হলেও কিডনির ওপর প্রভাব পড়ে। কিডনির সবচেয়ে পরিচিত এবং মূল সমস্যাগুলোর একটি হলো কিডনিতে পাথর হওয়া। কাঁচা লবণ খেলে সোডিয়াম খুব সহজে জমা হতে থাকে কিডনিতে।
এছাড়া অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণেও কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ে। কিডনির কাজ হচ্ছে শরীরের বর্জ্য ছেঁকে শরীরকে টক্সিনমুক্ত করা। আর এই কাজটি কিডনি করে পানির সহায়তায়। তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে। চাহিদামতো পানি পান না করার কারণে কিডনি সঠিকভাবে শরীরের বর্জ্য দূর করতে পারে না।
ফলে ওই বর্জ্য কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, কিডনিতে পাথর কোথায় ও কতগুলো আছে তারর ওপরেই অসুখের লক্ষণ নির্ভর করে। পাথর যদি খুব ছোট আকারের হয়, তাহলে কোনো লক্ষণ না-ও টের পেতে পারেন। তাই কিছু লক্ষণ জেনে রাখা ভালো, যাতে এই অসুখ নিয়ে আগাম সচেতন হওয়া যায়। কিডনিতে পাথর জমেছে কি না, কীভাবে বুঝবেন জেনে নিই চলুন।
পিঠ ও পাঁজরে ব্যথা
কিডনিতে পাথর হলে পিঠের দিক ও পাঁজরের দুই পাশে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথা অল্প হলেও অবহেলা করবেন না। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ব্যথা বেশিদিন অবহেলা করলে জটিলতা বাড়তে পারে।
তলপেটে ব্যথা
তলপেটেও ব্যথা হতে পারে। যদি অনেকদিন ধরে এই ব্যথা হতে থাকে, তা হলে সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না। কিডনিতে পাথর জমার অন্যতম লক্ষণ হলো তলপেটে ব্যথা। ব্যথা কিছুতেই না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ করে নিতে হবে।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
কিডনিতে পাথর জমলে প্রস্রাবের সময় কিংবা প্রস্রাবের পরবর্তী সময় জ্বালা অনুভব হয়। প্রস্রাবের সময় কোনো রকম কষ্ট অনুভব হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যান। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবের সঙ্গে যদি রক্ত দেখা দেয়, তা হলে তা আরও চিন্তার বিষয়। এই লক্ষণগুলো একবার দেখা দিলে তা এড়িয়ে যাবেন না।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
কিছু খেলেই বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শারীরিক ক্লান্তি, ক্ষুধা না লাগা ইত্যাদি কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে। অনেকেই এই উপসর্গগুলোকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভেবে ভুল করেন। তাই এমন কিছু লক্ষণ দেখলে এড়িয়ে না গিয়ে গুরুত্ব দিন।
জ্বর
ঘন ঘন জ্বর হওয়াও কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ। ঠান্ডা লাগার কারণেই যে সব সময় জ্বর হবে, এমনটি নয়। কিডনিতে পাথর হলেও জ্বর হয়।