পেটে গ্যাস জমলেই বেশিরভাগ মানুষ ওষুধ খেয়ে নেন। এতে শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে কিন্তু আপনি নিজেই করে নিতে পারেন এর চমৎকার সমাধান। ঘরোয়া এসব উপাদানে কোনোরকম সমস্যাও হবে না শরীরে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
- পেটের গ্যাস দূর করার অনেকগুলো ঘরোয়া উপায় রয়েছে। তারমধ্যে একটি হলো কিশমিশ। তবে কিশমিশ এমনি খেয়ে ফেললে হবে না, সেজন্য যেটি করতে হবে সেটি হলো, কিশমিশ ধুয়ে একগ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর ফলে কিশমিশগুলো ফুলে টইটম্বুর হয়ে যাবে। তারপর সকালে উঠে সেই কিশমিশ ৫-৬টি খেয়ে নিলেই যথেষ্ট। এটি নিয়মিত খেলে সুফল পাবেন দ্রুত।
- শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকর। শসাতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
- দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। দই খেলে খাবার দ্রুত হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
- পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
- কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন একটি করে কমলা খান। কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা নেই।
- আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।
- পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
- দারচিনি হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারচিনির গুঁড়া দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
- জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার ইত্যাদিতে বেশ ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করে নিন। গ্যাস সমস্যা হলে একটি বড়ি খেলেই সেরে যাবে।
- ২টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
- মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।