কাঁচা হোক আর পাকা হোক কলার পুষ্টিগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। কাঁচকলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। কাঁচকলা খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়, তা জেনে নিই চলুন।
হজমশক্তি বাড়ানো
কাঁচকলা খেলে হজমশক্তি ভালো হয়। এটি ফাইবার ও প্রতিরোধী স্টার্চসমৃদ্ধ। এই দুটিই পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে।
ক্ষুধা ও ওজন কমানো
কাঁচকলা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে কিছু পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় এবং ফাইবার দ্রুত হজম হয় না, যার কারণে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এমতাবস্থায় কিছু খাওয়ার ইচ্ছা থাকে না, যার কারণে ওজন কিছুটা হলেও কমতে পারে।
সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে গেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে কাঁচকলা খাওয়া যেতে পারে। এতে ভালো পরিমাণে প্রতিরোধী স্টার্চ এবং ফাইবার রয়েছে। প্রতিরোধী স্টার্চ এবং ফাইবার রক্তে উপস্থিত চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগে কার্যকর
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ্বরোগ, সংক্রামক, ডায়রিয়া এবং কোলন ক্যান্সারের মতো রোগ। যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কাঁচকলা খাওয়া এসব সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে এবং তাদের লক্ষণগুলো কিছুটা কমাতে সহায়তা করে।
সুস্থ হার্টের জন্য
ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ গুরুতর হৃদরোগের কারণ হতে পারে। সেই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার গুণও পাওয়া যায় কাঁচকলায়। এতে রয়েছে ভালো পরিমাণে ফাইবার, যা ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ ছাড়া কাঁচকলার পুষ্টিকর বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য
স্বাস্থ্যের পাশাপাশি কাঁচকলা ত্বকের জন্যও উপকারী। কাঁচকলা অনেক ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা মুখের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি ব্রণের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে।
চুলের যত্নে
চুলের যত্নে কলা উপকারী। আসলে কলাকে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম ও ভিটামিন-কে সমৃদ্ধ উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই পুষ্টিগুণ চুলকে ঝলমলে ও নরম রাখতে পারে। এগুলো চুলকে পুষ্ট করে এবং তাদের ভেঙে যেতে বাধা দেয়।











-20251226075252.jpeg)







-20251225102258.jpg)




















