• ঢাকা
  • সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৬ সফর ১৪৪৬

সিজারের দাগ দূর হবে ঘরোয়া উপায়ে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১, ০২:৩৩ পিএম
সিজারের দাগ দূর হবে ঘরোয়া উপায়ে

বর্তমানে অধিকাংশ মায়ের সন্তান প্রসব হয় সি সেকশন বা সিজারের মাধ্যমে। সন্তান জন্মের পর মা এই কাটা দাগ নিয়েই পরবর্তী জীবন কাটিয়ে দেন। এছাড়াও জন্মের পর সন্তানকে দেখাশোনায় মায়েরা আরও বেশি ব্যস্ত হয়ে যায়। তাই নিজের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। যদিও এখন লেজারের মাধ্যমেই সন্তান জন্মের দাগ দূর করা যায়। তবে তা কেবল উচ্চবিত্তের জন্য। কারণ এই প্রক্রিয়ায় গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা।

চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, যদি মা আগে থেকেই সচেতন থাকে তাহলে সিজারের কাটা দাগ চলে যাবে শরীর থেকে। এজন্য মাকে ঘরোয়া কিছু উপকরণ ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত। ডেলিভারির পর থেকেই ভেষজ এই উপাদানগুলো সদ্য মা হওয়া নারীদের অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

ঘরোয়া উপায় সিজারের দাগ দূর করার কয়েকটি উপায় জানাব এই আয়োজনে_

  • পোড়া ক্ষতই হোক কিংবা অপারেশনের দাগ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই তা দূর করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক অ্যালোভেরার জেল সদ্য হওয়া মায়ের ত্বকের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। এক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল দাগের স্থানে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন নিয়মিত। ধীরে ধীরে দাগ দূর হবে।
  • ভিটামিন-ই অয়েল ত্বকের নিচের কোলাজেন প্রোটিনের বিভাজন ঘটায়। আর কোলাজেনের বিভাজনই ত্বকের নিচে নতুন স্তর তৈরি করে। ফলে সিজারের দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়। নিয়মিত এই তেল দিয়ে সিজারের স্থানে ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন।
  • ত্বকের কাটা দাগ হোক আর কালচে ছোট সব দূর করতে পারে লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এটি। নিয়মিত লেবুর রস ব্যবহারে সিজারের দাগ হালকা হয়ে আসে।
  • আলুর রসেও প্রাকৃতিক ব্লিচ উপাদান আছে, যা দাগকে হালকা করতে সাহায্য করে। সিজারের দাগের ক্ষেত্রেও নিয়মিত আলুর টুকরো বা রস দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
  • চায়ের মধ্যে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সিজারের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এজন্য গ্রিন টির ব্যাগ গরম পানিতে চুবিয়ে তারপর সেটি হালকা ঠান্ডা করে কাটা দাগের ওপর রাখুন। প্রতিদিন ৩-৪ বার ১০-১৫ মিনিট করে এটি করলে সিজারের দাগ ধীরে ধীরে হালকা হতে শুরু করবে।
  • সিজারের দাগ দূর করার আরও এক উপাদান হলো কোকোয়া বাটার। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা সিজারের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে কোকোয়া বাটার ত্বককে আর্দ্র ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে।
  • সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ব্রণ বা পোকার কামড়ের জ্বালাপোড়া সবই দূর করে মধু। সিজারের দাগ দূর করতেও এর ভূমিকা কম নয়। সিজারের গাঢ় দাগ দূর করতে সাহায্য করে মধু। এতে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য আছে, ফলে সিজারের অংশে কোনো সংক্রমণের আশঙ্কা নেই।

 

সূত্র: বেবি ডেসটিনেশন

Link copied!