• ঢাকা
  • রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৫ সফর ১৪৪৬

মায়ের নিথর দেহের পাশে বসে কাঁদছিল ২ শিশুসন্তান


গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৫, ১০:৩০ এএম
মায়ের নিথর দেহের পাশে বসে কাঁদছিল ২ শিশুসন্তান
গ্রেপ্তার রাকিব হাসান। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কাশিমপুরে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর স্বামী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলছি, আমি ঘরে আছি, আত্মসমর্পণ করব। আপনারা আমাকে নিয়ে যান।’

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন ২ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম জেমি (১৯)। তিনি দিনাজপুর জেলার শেতাবগঞ্জ থানার মিচরিগোলা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে।

অপর দিকে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রাকিব হাসান (২২)। তিনি বগুড়া জেলার লতিফপুর এলাকার মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। তাদের তাজিম নামে দুই বছরের শিশুসন্তান ও রাইসা আক্তার জেরীন নামে দুই মাসের আরেক শিশুসন্তান রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জিএমপির কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ দম্পতির মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়। কিন্তু গত শুক্রবার সন্ধ্যার পরে কোনো একসময় রাকিব তার স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে তিনি নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে তিনি নিজের ঘরেই পুলিশের জন্য অপেক্ষা করে। এ সময় ঘরের ভেতর মায়ের নিথর দেহের পাশে কাঁদছিল দুই বছরের শিশুসন্তান তাজিম ও দুই মাসের আরেক শিশু রাইসা আক্তার জেরীন।


খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একই ঘরে স্বামীকে কান্নাকাটি করতে এবং ঘরের মেঝেতে স্ত্রীর লাশ দেখতে পায়। পুলিশ গ্রেপ্তারের জন্য স্বামীকে হাতকড়া পরানোর সময় তাকে অনুশোচনা করে কাঁদতে দেখা যায়। তাঁদের স্বজনেরা কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, ‘রাকিব রে তুই কী করলি। এখন তোর বাচ্চা দুইটারে কে দেখব?’ তাদের কান্না উপস্থিত সবাইকে আবেগাপ্লুত করে তোলে।

জিএমপির কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!