বেফাঁস মন্তব্যের কারণে প্রায়ই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সমালোচকদের কড়া জবাব দিতে সবসময়ই প্রস্তুত থাকেন এই নায়িকা। তবে এবার কাহিনী অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে থানায় অভিযোগ দায়েরও করেছেন এই অভিনেত্রী।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, খালিস্তানিদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় কঙ্গনা রানাওয়াতকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। তার সেই অভিযোগ নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেছেন কঙ্গনা।
একই সঙ্গে শেয়ার করেছেন ভারতের অমৃতসরের গোল্ডেন টেম্পলের ছবি ও এফআইআরের কপি।
গত ২১ নভেম্বর কঙ্গনা নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি স্টোরি শেয়ার করেন। সেই স্টোরির পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির (ডিএসজিএমসি) প্রেসিডেন্ট মনজিন্দার সিং সির্সা ও শিখ সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্য মিলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ (এফআইআর) দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে মা আশা রানাউত ও দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের সঙ্গে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন কঙ্গনা। ছবিতে কঙ্গনাকে মাথায় ওড়না দেওয়া হালকা নীল রঙের পোশাকে দেখা যাচ্ছে। ছবির সঙ্গে দীর্ঘ পোস্টে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন কঙ্গনা।
ভারতের কংগ্রেসের অন্তর্বতী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে অনুরোধ করেছেন কঙ্গনা। ঘটনার বিবরণীতে কঙ্গনা জানান, হুমকি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং পাঞ্জাব সরকারকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আবেদন করেছেন। নিজেই থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন।
কঙ্গনা তার বিবৃতিতে বলেছেন, মুম্বাই হামলার সন্ত্রাসদমনকারীদের কথা মনে পড়ছে। অপরাধীদের কখনও ভোলা উচিত নয়। এই ধরনের ঘটনায় দেশের মধ্যেই কিছু মানুষ অপরাধীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ভারতকে অপমান করার কোনও সুযোগই এরা ছাড়েনি। কিছু টাকা ও ক্ষমতার লোভে এরা বিক্রি হয়ে যায়।"
পোস্টে কঙ্গনা আরও লিখেছেন, "আমি আমার পোস্টে হুমকি পেয়েছি ক্রমাগত। ভাটিন্ডার এক ভাই আমাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে খোলাখুলি। জানিয়ে রাখি, আমি এই ধরনের হুমকিকে ভয় করি না। দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে, তাদের বিরুদ্ধে সব সময় সরব হয়ে আমি কথা বলবই। নিরপরাধ সেনাদের হয়ে নকশাল হলেও প্রতিবাদ করব। বিদেশে বসে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধেও বলব যারা পাঞ্জাবের পবিত্র ভূমিকে খালিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছে।"
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরই ক্ষুব্ধ হোন কঙ্গনা। সোজাসুজি আঘাত করেন কৃষক সম্প্রদায়কে। কৃষকদের প্রতিবাদকে তিনি ‘খলিস্তানি আন্দোলন’-এ আখ্যা দেন। প্রতিবাদী কৃষকদের ‘খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী’ বলেও আখ্যা দেন এই অভিনেত্রী।